রাতারাতি জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাহমুদুল হাসান মাসুমের বিরুদ্ধে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরিত এক অভিযোগপত্রে বলা হয়, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার হরিপুর গ্রামের আনসার আলমের ছেলে মাহমুদুল হাসান মাসুম কিছু দিন আগেও মেলান্দহ বাজারে একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করত। ২০১৬ সালে মেলান্দহ জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজের আইটি পোস্টে চাকরি পায়। সেখানে বছর খানেক চাকরি করে। এর সে কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায় তা সবার অজানা। ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে র্যাব তাকে ধরে নিয়ে যায়। কিছু দিন পর সে ছাড়া পায়। পুনরায় ২০২১ সালের জুলাই মাসে র্যাব আবারও তাকে ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু সপ্তাহ খানেক পরেই ছাড়া পায়।
জানাগেছে, মাহমুদুল হাসান মাসুমের রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে। (১. ব্লক-এফ, রোড-৩, হাউজ ৩৩৬, ২. ব্লক-আই, রোড-২, হাউজ-৫০ এবং অন্যটি এফ ব্লকের ১ নম্বর রোডের ২৯৬ নম্বর বাড়ি এবং জামালপুর পশ্চিম নয়াপাড়ায় নিজস্ব বাসা রয়েছে। মেলান্দহ ব্র্যাক মোড়ে অফিস এবং গোডাউন রয়েছে। মেলান্দহ বাজারে জিন্নাহ সুপার মার্কেটের ২য় তলার মাসমির বাজার নামে সুপার শপ রয়েছে এবং ৩য় তলায় একটি ক্যান্টিন রয়েছে। ঢাকা যমুনা ফিউচার পার্কে (লিফট-২, নর্থ ব্লক, লেভেল-২বি, দোকান নং-২৩) এ মাসমির বাজার রয়েছে। শিমূলতলী স্টেশন রোড, মেলান্দহে এক একর জমিতে প্রজেক্ট রয়েছে। ময়মনসিংহ ভালুকায় একটি মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। মেলান্দহ হরিপুর গ্রামে তাঁর ছেলে মিসাল এর নামে মিসাল এন্টারপ্রাইজ নামে আরো একটি মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। এ ছাড়াও নিজস্ব গাড়ি, একাধিক মাহিন্দ্রা, ট্রাক্টর, রোড রোলার রয়েছে। বর্তমানে সে বসুন্ধরা আবাসিক এ বর্ণিত ফ্ল্যাটে বিভিন্ন নারীদের নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করে যাচ্ছে।
এই সমস্ত বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদক চেয়ারম্যানের মর্জি কামনা করা হয়।