কুমিল্লা এই জয়ে নিজেদের পাশাপাশি ফরচুন বরিশালের প্লে অফ রাউন্ডও নিশ্চিত করেছে। এর মাধ্যমে রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের ১০ ম্যাচ বাকি থাকতেই প্লে অফের তিন দল চূড়ান্ত হয়ে গেলো।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে তামিম ও হোপের তাণ্ডবে দুই উইকেটে ২১০ রান সংগ্রহ করেছিল খুলনা। যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন রিজওয়ান ও চার্লস। এই দুই ব্যাটারের ঝড়ে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় কুমিল্লা।
বিপিএলের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল খুলনা টাইগার্সের। ২০২০ সালে ঢাকা প্লাটুনের দেওয়া ২০৭ রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করে জিতেছিল তারা। যা এতদিন ছিল বিপিএলে ২০০-এর বেশি রান তাড়া করে একমাত্র জয়।
কুমিল্লার রান তাড়ার শুরুটা অবশ্য আশানুরূপ ছিল না। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। ইমরুল কায়েস ফেরেন মাত্র ৫ রানে। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনসন চার্লস মিলে শুরু করেন তাণ্ডব।
দুজনের ৬৯ বলে ১২২ রানের জুটিতে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে কুমিল্লা। ৩৯ বলে ৭৩ রান করে ফেরেন রিজওয়ান। তিনি না পারলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন চার্লস। ৫৩ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন চার্লস। অন্যপ্রান্তে রানে অপরাজিত থাকেন খুশদিল। খুলনার হয়ে শফিকুল ইসলাম, আমাদ বাট ও নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। বল হাতে শুরুতেই সাফল্য পায় তার দল। মাহমুদুল হাসান জয় ফেরেন ১ রানে।
তবে এরপর কুমিল্লার আনন্দ মিলিয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি। স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের পাশাপাশি কায়েসের দল হয়তো ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি এরপর কিসের সাক্ষী হতে যাচ্ছেন তারা।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শুরুতে একটু সময় নিয়ে জমার পর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন শাই হোপ ও তামিম ইকবাল। কুমিল্লার বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করতে থাকেন তারা।
প্রথমে ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরন করেন হোপ। একটু পর ৪৫ বলে ফিফটির দেখা পান তামিম। তবে এরপরই যেন ব্যাটকে খাপছাড়া তলোয়াড় বানান তিনি। হোপকে দর্শক বানিয়ে একেরপর এক বল আছড়ে ফেলতে থাকেন বাউন্ডারির বাইরে।
শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৬১ বলে ৯৫ রান করেন তামিম। শাই হোপ ৫৫ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৯১ রানে। কুমিল্লার হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন ও নাসিম শাহ একটি করে উইকেট শিকার করেন।