শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

ফরিদুল আলম ইমনসহ সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৩৫ বার পঠিত

জাল জালিয়াতি করে বহু সরকারি প্রকল্পের প্লট ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ইয়ুথ গ্রুপের পরিচালক মোঃ ফরিদুল আলম (ইমন) ও পূর্বাচলের ইছাপুরা এলাকার স্থানীয় দালাল মোঃ মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দেওয়া অবেদনে বলা হয়, পূর্বাচল প্রকল্পের ২১৮৭ নং কোডের অন্তর্ভূক্ত ৩ নং সেক্টরের ৪০৮ নং রাস্তার ৭.৫ কাঠা আয়তনের ১৪ নং প্লটটি রাজউক কর্তৃক সর্ব প্রথম মহিদুর রহমান এর অনুকূলে বরাদ্দ করা হয়। পরবর্তীতে মোঃ ফরিদুল আলম (ইমন) এবং জনাব মোঃ মোবারক হোসেন যৌথভাবে স্বাক্ষর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মোঃ ফরিদুল আলম (ইমন) এর নামে আম-মোক্তারনামা দলিল সম্পাদন করে (সংযুক্ত-১)। যার দলিল নং ১৬২৬৭/১৮। যা সম্পূর্ণ ভূয়া ও জাল জালিয়াতি। রাজউক অফিসে ও রেজিষ্ট্রি অফিসে খোঁজ-খবর করলে সত্য বেড়িয়ে আসবে।

মোঃ মোবারক হোসেন এর রাতারাতি ধনী হবার গল্প আলাদীনের চেরাগকেও হার মানাবে। মোবারক প্রথম জীবনে ছিল একজন সামান্য লাউ বিক্রেতা। পরবর্তীতে নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা পয়সার মালিক হন। তার পরের কাহিনী আরো রহস্যজনক। মোবারক রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের জিম্মি করে।

ইয়ুথ গ্রুপ, মিরপুর এর পরিচালক মোঃ আজগার হায়দার এর মায়ের নামে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে ক্রয়কৃত ৭.৫ কাঠার প্লটে (প্লট নং-০৫, রোড নং-৪১১, সেক্টর নং-০১) মোঃ আজগর হায়দার ও মোবারক হোসেন কর্তৃক হোয়াইট হাউজ নামে একটি রেষ্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং উক্ত রেষ্টুরেন্ট এর বিপরীতে অবস্থিত দুইটি প্লট দখল করে রেষ্টুরেন্টের টেবিল চেয়ার স্থাপন করেন। রাজউকের আবাসিক প্লটে বাণিজ্যিক কোনো স্থাপনা করা যাবে মর্মে না রাজউকের নীতিমালায় উল্লেখ আছে। রাজউক কর্তৃক উক্ত রেষ্টুরেন্টকে কারণ দর্শানোর নোটিশও প্রদান করা হয়েছিল (সংযুক্ত-২)। উক্ত রেষ্টুরেন্টে ওপেন মাদক বেচা-কেনা ও নারী পুরুষের অবৈধ মেলামেশাসহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ সংগঠিত হয়। যার ফলে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রচুর মাদকসহ রেষ্টুরেন্টের ম্যানেজার ও তার সংগীসহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করে। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও মিডিয়াতে প্রচারিত হয়।

মোঃ মোবারক হোসেন বৈধ কোনো ব্যবসা ছাড়া বিপুল অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন। তিনি বিপুল পরিমান অর্থ আমেরিকা ও দুবাইতে ইতোমধ্যে পাচার করেছেন। মোঃ মোবারক হোসেন এর নামে পূর্বাচলের ইছাপুরা এলাকায় ১৫ কাঠা জমি এবং দাউদপুর এর আমাদিয়া মৌজায় প্রায় ২ বিঘা জমি রয়েছে (সংযুক্ত-৩)। তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার এর নামে পূর্বাচল প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় ক্রয়কৃত প্লট এবং আনুমানিক ৩০০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে (সংযুক্ত-৪)। ইতোমধ্যে মোঃ মোবারক হোসেন বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছেন। মোঃ মোবারক হোসেন নামী দামী ব্যান্ডের ৩ টি গাড়ী ব্যবহার করেন। এমতাবস্থায়, ইয়ুথ গ্রুপ, মিরপুর এর পরিচালক মোঃ ফরিদুল আলম (ইমন) এবং মোঃ মোবারক হোসেন এর বিরুদ্ধে দলিল জাল জালিয়াতির মামলাসহ অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের অনুসন্ধানপূর্বক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com