দ্বিতীয় দিনেই জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। মাসব্যাপী প্রাণের এই মেলা বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। শুরুর দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার মেলায় কবি, সাহিত্যিক, লেখক, পাঠক ও দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিছু কিছু স্টলে এখনো চলছে শেষ প্রস্তুতির কাজ। দুই-একদিনের মধ্যেই এ কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে, প্রতিদিনই মেলায় বিভিন্ন লেখকের নতুন নতুন বই আসছে। তবে কেনাকাটা সেভাবে শুরু হয়নি। দর্শনার্থীরা আসছেন। ঘোরাফেরা করছেন। সেলফি তুলছেন। আড্ডা দিচ্ছেন। তারা বলছেন, এবার মেলা বেশ গোছানো। বিভিন্ন স্টল ঘুরেফিরে দেখছি। পছন্দের কিছু কিছু বই কিনছি। তবে পরবর্তীতে তালিকার সব বই কিনবো।
বিক্রেতারাও এবারের মেলা নিয়ে আশাবাদী। তারা বলছেন, করোনার কারণে গত কয়েক বছর মেলায় সেভাবে বই বিক্রি করতে পারিনি। এবার সেই চিন্তা নেই। আশা করছি, অন্যবারের তুলনায় এবারে আশাতীত বই বিক্রি হবে।
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের অধিকাংশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন। মেলার আয়োজন নিয়ে তারা বেশ উচ্ছ্বসিত। শ্যামলি থেকে আসা এরহাম সানজিদা ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় এসেছি। ঘুরতে ঘুরতে প্রিয় লেখকদের বই সংগ্রহ করছি। তবে গতবছরের তুলনায় মেলা প্রাঙ্গণ ভিন্নভাবে সেজেছে। এবার বেশি ভালো লাগছে।
তিনি আরো বলেন, বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকি বইমেলার জন্য। আমার পছন্দ সাইন্স ফিকশন এবং থ্রিলারধর্মী গল্প-উপন্যাস। আজ কিছু সংগ্রহ করেছি এবং আগামীতে আরো বই সংগ্রহ করার ইচ্ছা আছে।
বইমেলা প্রসঙ্গে কবি ও কথাসাহিত্যিক মামুন হাসনাইন বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলায় এলে নিজেকে খুঁজে পাই। এটা শুধু বইমেলা নয়, লেখক-পাঠকের মিলন মেলাও। এক বছর পর অনেকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণে ম-ম করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
তিনি আরো বলেন, আজ মেলার দ্বিতীয় দিন। যত দিন যাবে মেলায় লেখক-পাঠক, দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। লিটলম্যাগ চত্বর এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়নি। এ স্থানটি যতদূর সেজে উঠবে তত আমার মতো মানুষেরা মেলায় আড্ডা জমাতে পারবে।
উল্লেখ, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩। গতকাল বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলা উদ্বোধনের পর পাঠক ও দর্শনার্থীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হয়। এদিনও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।