বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (নবম) আসরের ফাইনালে যেন বাঘে-সিংহের লড়াইয়ের স্বাদ পেলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। মিরপুরে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দুই দলই যেন বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী মন্ত্রে নেমেছিল। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে কুমিল্লা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করেছিল সিলেট। জবাবে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় কুমিল্লা। বাকি ছিল ৪ বল।
রান তাড়া করতে নেমে এদিন সুনীল নারিন ও ইমরুল কায়েস কেউই ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দুজনে যথাক্রমে ১০ ও ২ রানে সাজঘরে ফেরেন। তবে লিটন দাস ও জনসন চার্লস মিলে পাল্টা আক্রমণে দলকে এগিয়ে নেন।
জন্মদিনের উপলক্ষটা দারুণ এক ফিফটি দিয়ে সাজান লিটন। আউট হওয়ার আগে ৫৫ রান করেন তিনি। এরপর বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেন চার্লস ও মঈন আলী। ম্যাচ শেষে চার্লস ৭৯ ও মঈন ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিলেটের হয়ে রুবেল হোসেন দুটি ও জর্জ লিন্ডে একটি করে উইকেট শিকার করেন। মাশরাফীর বলে লং অফে বল ঠেলেই আনন্দে মাতেন চার্লস। একইসঙ্গে মাতোয়ারা হয় কুমিল্লা।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। প্রথম ওভারেই ১৭ রান যোগ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হন তৌহিদ হৃদয়।
তিনে নেমে মাশরাফী ১ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৭৯ রানের বড় জুটি গড়ে সিলেটকে ম্যাচে ফেরান শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। মঈন আলীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৫ বলে ৬৪ রান করেন শান্ত।
বাকি সময়ে মুশফিক ছাড়া আর কেউই ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। শান্তর মতো তিনিও পান ফিফটির দেখা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দলের বাকিদের মাঝে রায়ান বার্ল ১৩ ও জর্জ লিন্ডে ৯ রান করেন। কুমিল্লার হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান দুটি এবং আন্দ্রে রাসেল, তানভীর ইসলাম, সুনীল নারিন ও মঈন একটি করে উইকেট শিকার করেন।