মেসার্স তামান্না ফার্মেসীর অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ জমা দিয়েছে ওষুধ ব্যবসায়ীদের পক্ষে জনৈক ব্যবসায়ী দুলাল সাহা।
৬ মার্চ জমা দেয়া ওই আবেদনপত্রে বলা হয়, মেসার্স তামান্না ফার্মেসী একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদেরকে দাবী করে আসছে অথচ এর অন্তরালে চলছে অবৈধ রমরমা নেশা জাতীয় দ্রব্য সহ বিভিন্ন দেশী-বিদেশী কোম্পানীও প্রতিষ্ঠানের অ-অনুমোদিত বেআইনী পণ্য সামগ্রী ও ব্ল্যাকে আমদানী করা সেক্স উত্তেজিত সহ সেক্সুয়েল নানান ধরনের পণ্য সামগ্রী, সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় পন্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে তামান্না ফার্মেসী নামের মুখোষধারী এই প্রতিষ্ঠানটি। ঘরে বসে ঔষধ পত্রের আড়ালে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য ও সেক্সুয়াল সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তামান্না ফার্মেসী নামের এই অবৈধ চেইন সপ প্রতিষ্ঠানটি । এরা সু-কৌশলে সরকারের বিশাল অংকের রাজস্ব ফাকি দিচ্ছে এবং জাতিকে বেপরোয়া ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, এভাবে তারা রাতারাতি একটার পর একটা ব্রাঞ্চের সংখ্যা বাড়িয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে,
তামান্না ফার্মেসী পরিচালনা পর্ষদ পূর্বের মালিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দুই-তিন জনে মিলে কিনে নিয়ে ব্যবসার ধরন পাল্টে ফেলেছে এবং অবৈধ উপায়ে উল্লেখিত ব্যবসা শুরু করেছে। তামান্না ফার্মেসী দেশের বিভিন্ন জেলা ও শহরে এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চেইন ফার্মেসীর ব্রান্ডিং বিক্রি করছে তামান্না ফার্মেসী সারাদেশে প্রায় দু-ডজন ব্রাঞ্চ বানিয়ে এই জালিয়াতি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে এবং কিছু লোককে ম্যানেজ করে তাদের অবৈধ রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এরা প্রভাবশালী পরিবারের লোক হওয়ায় কেউ এদের ভয়ে কথা বলতে সাহস পায়না,
তামান্না ফার্মেসীর এমডি আনোয়র হোসেন মৃধা যার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে, তার অপর পার্টনার তারই কাজিন মেহেদী হাসান, তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পথে তামান্না ফার্মেসীকে পরিচালনা করে আসছে মেহেদী হাসান ও আনোয়ার হোসেন ও গংরা। উত্তরা আজমপুর তামান্না ফার্মেসীর মালিকের নাম শুধু মোঃ আনোয়ার হোসেন লাইসেন্স নং- ১৪২৫৬, তামান্না ফার্মেসীর গুলশান ব্রাঞ্চ মালিকের নামের জায়গায় লেখা আছে আনোয়ার হোসেন মৃধা, লাইসেন্স নং- ২৪৭৪, ঠিক একই ব্যাক্তির মিরপুর শেনপাড়া পর্বতায় তামান্নার লাইসেন্স নং- ১৩৭৮২ মোঃ আনোয়ার হোসেন মির্জা গং একই ব্যাক্তির নাম একেক রকম, লেখার রহস্যটা কি?
উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে তামান্না ফার্মেসীকে আইনের আওতায় এনে এদের প্রত্যকের ও পরিবারের সম্পদের হিসাব চাওয়া সহ কার্যকারী ব্যবস্থা নিতে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে তামান্না ফার্মেসির এমডি আনোয়ার হোসেন মৃধাকে মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।