টানা দ্বিতীয় বার দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যুদ্ধজাহাজ। মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের জলসীমায় প্রবেশ করলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই দ্বীপপুঞ্জে ইউএসএস মিলিয়াস গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ারটি প্রবেশ করেছিল।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম জানায়, চীন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের বিধি-নিষেধকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ‘মুক্ত নৌ-চলাচল কার্যক্রমের’ অংশ হিসেবে গত শুক্রবার ওই দ্বীপপুঞ্জের আশপাশে দেখা যায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজটিকে।
কোনো সামরিক জাহাজ এই দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করতে চাইলে এই তিন দেশকে আগেই অবহিত করতে হয় কিংবা অনুমতি নিতে হয়। তিনটি দেশই কৌশলগত এই জলপথ নিজেদের দাবি করে আসছে।
চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন তৎপরতা দেশটির সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছে। চীনের নৌ ও বিমানবাহিনী আমেরিকান যুদ্ধজাহাজকে নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে। অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে এ ব্যপারে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরের মুখপাত্র লুকা বাকিক বলেন, বিশ্বজুড়ে মাত্রাতিরিক্ত সমুদ্রসীমার দাবিকে চ্যালেঞ্জ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে দাবিদারের পরিচয় বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে ‘দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার’ করছে যুক্তরাষ্ট্র। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তান কেফেই বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীর তৎপরতা চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে, আন্তর্জাতিক আইন চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। এটি দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ-চলাচল কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও সামরিকায়নে মার্কিন প্রচেষ্টার অকাট্য প্রমাণ।
সূত্র: রয়টার্স