বিশেষ প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: কোনো অনলাইন পত্রিকা বা কোনো নিউজপেপার বন্ধ করা আমাদের কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। কিন্তু কোনো পত্রিকা যদি গুজবের ভিত্তিতে, যাচাই-বাছাই না করে সংবাদ পরিবেশন করে এবং সেই সংবাদের কারণে যদি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তাহলে সেই পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, নিবন্ধনের জন্য অনলাইনগুলো আবেদন করছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে তাদেরকে নিবন্ধন দেয়া হবে।
শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর: তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যাপিকা মেরিনা জাহান বক্তব্য রাখেন।
তরুণদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী গুজব একটি বড় সমস্য। স্যোশাল মিডিয়ার এ যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রচারের অধিকার সবারই রয়েছে। এটা যে কারও অবারিত অধিকার। এই অবারিত অধিকার পালন করতে গিয়ে অন্যের অধিকার যেন ক্ষুণ্ন না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ব্যক্তি হিসেবে কেউ গুজব ছড়ানোর জন্য দায়ী হলে বা তার গুজবের কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হলে, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য একটি ৫৭ ধারার একটি আইন করা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন পত্রিকার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ৩০ তারিখ পর্যন্ত আবেদনের সময় আছে। আগের তিন হাজার ছিল, বর্তমানে সুযোগ দেয়ায় আরও পাঁচ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সবাই যাতে আবেদন করতে পারে এ জন্য আরও সময় বাড়ানো হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন দেয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আগে এই বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে বড় সংবাদ হতো। যখন ঘূর্ণিঝড় হতো, জলোচ্ছ্বাস হতো, বন্যা হতো, খরায় ফসল পুড়ে যেতো তখন আমরা বিশ্ব নিউজ হতাম। এখনও আমরা বিশ্ব নিউজ হই কিন্তু সে নিউজ ভিন্ন আঙ্গিকে। এখন আমরা বিশ্ব নিউজ হই ক্রিকেটে বাংলাদেশ যখন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং ভারতকে হারায়।
তিনি বলেন, এখন বিশ্ব নিউজ হই যখন আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে অন্য দেশের নোবেলবিজয়ী যখন পজেটিভ কথা বলেন। এছাড়া আমাদের কিশোরী ফুটবলাররা যখন ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ায় এবং বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশ হয়; এসব খবর যখন বিশ্বব্যাপী প্রচার হয় তখন আমরা বিশ্ব নিউজ হই।