ইসরাইল গত মঙ্গলবার (৯ মে) থেকে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় অনবরত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯০ জনেরও বেশি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৬ শিশু ও ৩ নারীও রয়েছে। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের রকেট ফোর্সের (পিআইজে) প্রধান ও তার সহযোগীও রয়েছেন।
ইসরাইলি হামলার জবাবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোও গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডের দিকে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে। এমনই এক হামলায় অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে নির্মিত ইসরাইলি ছিটমহলে এক ইসরাইলি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (১১ মে)।
এদিকে, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল উভয় পক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে মিসর। তবে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, যাতে মনে হতে পারে যে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা কিংবা ইসরাইলি সেনাবাহিনী কেউ অস্ত্রবিরতি মেনে নিতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সুরেও যেকোনো ধরনের অস্ত্রবিরতি উপেক্ষা করার বিষয়টি স্পষ্ট। সম্প্রতি দেশের এক বিমানঘাঁটি পরিদর্শনকালে এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন অভিযানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছি। আমাদের এই অভিযান একই সঙ্গে আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে আমাদের ক্ষতি করতে আসবে, রক্তপাত তার কপালের লিখন।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজায় বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, তারা পিআইজের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
২০২৩ সালের শুরু থেকেই ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি আরও বেশি হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানে অবরুদ্ধ গাজা ও পশ্চিম তীর – দুই ভূখণ্ডে ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন।