অপরাধের পথ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের নিষিদ্ধ ঘোষিত ৪টি চরমপন্থি সংগঠনের তিন শতাধিক সদস্য।
রোববার (২১ মে) র্যাব-১২ সদর দফতর সিরাজগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন তারা।
সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর নিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এক সময় এ দুই অঞ্চলের আতঙ্ক ছিল বেশ কয়েকটি চরমপন্থি ও সর্বহারা সংগঠন।
বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় এসব সংগঠনের সদস্যদের দিনের পর দিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে হতো। পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন ছিল তাদের জীবন। কিন্তু অবশেষে অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথে আসতে চায় – এ কথা বলে তারা আত্মসমর্পণের ইচ্ছে পোষণ করে র্যাবের কাছে।
অপরাধের পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরায় এসব সংগঠনের সদস্য ও তাদের পরিবারের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এতে খুশি চরমপন্থি সদস্যদের স্বজনরা। অন্যদিকে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার খবরে স্বস্তি ফিরেছে এক সময় আতঙ্কে থাকা এ জনপদের মানুষের মাঝে।
র্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন (পিপিএম) জানান, র্যাব-১২-এর অধীন ৭টি জেলার আজ (রোববার) প্রায় তিন শতাধিক চরমপন্থি আত্মসমর্পণ করবেন এবং এতে ২০০ আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের জনপদে নিরাপত্তা অনেকটা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও জানান, আত্মসমর্পণের পর চরমপন্থিদের নামে থাকা ক্ষমার যোগ্য মামলাগুলো সাধারণ ক্ষমার পাশাপাশি ক্ষমার অযোগ্য মামলাগুলো প্রচলিত আইনে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবে সরকার। সেই সঙ্গে আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি সদস্যদের প্রশিক্ষিত করে পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।