উত্তরা সংবাদদাতা:
রাজধানীর দক্ষিণখান পূর্ব আজমপুর বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শেখ মাসুম হায়দার কে হত্যার হুমকি দেনদক্ষিনখান থানার ৫০ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ পরিচয় দানকারী সোনিয়া আক্তার সোনি । এমন অভিযোগ এনে দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও সংবাদ সম্মেলন করেন সাংবাদিক শেখ মাসুম হায়দার।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরায় একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিনখানের পূর্ব আজমপুর বাইতুল মা’মুর জামে মসজিদের সেক্রেটারী সাংবাদিক শেখ মাসুম হায়দার এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ মাসুম হায়দার বলেন , গত ২ জুন শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল খান গংরা তাদের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে বর্তমান কমিটির উপর হামলা চালায়। এতে কমিটির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, শেখ শামীম রেজাসহ অনেকেই আহত হন। কিছুক্ষন পর সোহেল খানের আত্মীয় ৫০ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ পরিচয়দানকারী সোনিয়া আক্তার সোনি তার দলবল নিয়ে জোরপূর্বক মসজিদের ভেতর প্রবেশ করে আমাকেসহ বর্তমান কমিটির অন্যান্য সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং সোনিয়া আক্তার সোনি উপস্থিত সকলের সামনে আমাকে লক্ষ্য করে বলেন তুই সাংবাদিক হায়দার তোরে ও সিরাজকে চিনে রাখলাম। সময় হলে চিপরায়ে তোদের রশ বের করে জানে মেরে ফেলব। আমার নামে নিউজ করিস, আমি মহিলা আওয়ামী লীগ করি। আমাকে চিনিস্, আমার ক্ষমতা জানিস, তোদের ও তোদের পরিবারের খবর আছে। মাইর ও মামলার ব্যবস্থা করতেছি দ্বারা। এই বলে সোনিয়া আক্তার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ চিৎকার চেঁচামেচি করে মসজিদে ভীতিকর অবস্থার তৌরি করে। পরবর্তিতে দক্ষিনখান থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি শান্ত হয়।
হামলা ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ৪ জুন দক্ষিনখান থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন সাংবাদিক শেখ মাসুম হায়দার। জিডি নং ২২৪।
সংবাদ সম্মেলনে, উপস্থিত ছিলেন, বাইতুল মামুর জামে মসজিদের, সম্মানিত সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি, শেখ মাসুম হায়দার, জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ সিরাজুল ইসলাম, শেখ শামীম রেজা, ও মনির উদ্দিন আসাদসহ আরো অনেকে।