নেদাল্যান্ডসকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগে তৃতীয় হয়েছে ইতালি। রোববার রাতে নেদারল্যান্ডের ডি গ্রোলশ ভেস্তে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত স্থান নির্ধারনি ম্যাচে স্বাগতিক ডাচদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে ইতালি।
এর আগে, দুই দলের ২৩ মোকাবেলায় নেদারল্যান্ডস মাত্র তিনটি ম্যাচে জিতেছে, হেরেছে ১১টি ম্যাচে। আর ড্র করেছে ৯ ম্যাচে। তবে সম্প্রতি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল দুই দলের লড়াই। সর্বশেষ ৭ ম্যাচে কেউ কাউকে হারাতে পারেনি। আজ্জুরিরা সর্বশেষ জয়টি পেয়েছিল ২০০৮ সালের জুনে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে।
এদিকে সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে যাওয়া দলে ৭টি পরিবর্তন এনে আজ একাদশ সাজিয়েছিলেন ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি। সফলতা পেয়েছেন পরিবর্তনে। তাদের সামনে সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক নেদারল্যান্ড।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে ফেদেরিকো ডিমার্কোর গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। গিয়াকোমো রাসপাদোরির বাড়িয়ে দেয়া বল ডান পায়ের শটে ডাচদের গোলপোস্টে পাঠিয়ে দেন তিনি। ম্যাচের ২০তম মিনিটে ইতালিকে দ্বিগুন ব্যবধানে পৌঁছে দেন ডেভিড ফ্রাটেসি। উইলফ্রেড গনন্টোর যোগান থেকে পোস্টের একেবারে সামনে পাওয়া বল দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি (২-০)।
এরপর নির্ভার ইতালীয়দের বিপক্ষে কিছুটা চড়াও হয়ে খেলা শুরু করে ডাচরা। বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েও ভাঙতে পারেনি সফরকারীদের রক্ষনব্যুহ। ফলে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।
বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমন অব্যাহত রাখে ডাচরা। বিপরীতে আজ্জুরিরা আশ্রয় নেয় কৌশলের। এরপরও ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে দেয় নেদারল্যান্ডস। বদলি হিসেবে মাঠে নামা স্টিভেন বার্গউইনের গোলে ব্যবধান কমায় নেদারল্যান্ডস। পোস্টের এক পাস থেকে দারুণ দক্ষতায় বল জালে জড়ান তিনি।
তবে ব্যবধান পুনরুদ্ধার করতে খুব বেশি সময় নেয়নি ইতালি। ৪ মিনিট পর ম্যাচের ৭২ মিনিটে ডেভিড ফ্রাটেসির যোগান থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদের মাধ্যমে দলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ফেদেরিকো চিয়েসা।
ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে জয় বীরম্যানের যোগান থেকে বল পেয়ে প্লেসিং শটে জিওরজিনিও উইজনালডুম ইতালির জালে বল জড়িয়ে দিলে ব্যবধান ৩-২ গোলে নামিয়ে আনে নেদারল্যান্ড। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে ইনজুরি টাইমে আজ্জুরিদের চেপে ধরে স্বাগতিক ডাচরা। তবে বাকি গোলটি পরিশোধ করতে পারেনি তারা। ফলে ৩-২ গোলের পরাজয় মেনে টুর্নামেন্টের ব্রোঞ্জ পদক থেকে বঞ্চিত হয় নেদারল্যান্ড। আর শান্তনার পদক নিয়ে মাঠ ছাড়ে মানচিনির শিষ্যরা।