তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে পেট্রলবোমা মেরে-বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে। তখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। অথচ আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দেয়। আসলে সংগঠন দুটি ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাই তাদের বিবৃতির কোনো মূল্য নেই।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,অ্যামনেস্টির জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন তারেক রহমানের শ্যালিকা আইরিন খান । এখনো অ্যামনেস্টির সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি তারেক রহমানের বউয়ের চাচাতো বোন। যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলো, তখন এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিচার বন্ধ করার জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। অথচ ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছিল, তখন তারা কোনো বিবৃতি দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। এদের বিবৃতি কীভাবে হয়, কোথায় ড্রাফট হয়, আর কিসের বিনিময়ে হয় সেটা আমরা জানি। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়ার নৈতিক কোনো অধিকার তাদের নেই।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। আর এমন সময় দেশবিরোধী অপশক্তি আবারো এক হওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সেই লবিস্টের পেছনে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা কয়েকটা বিবৃতি আর কিছু চিঠি ক্রয় করেছে। এসব বিবৃতি ও চিঠি কিনে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যেতে পারবে না। সেজন্য মানুষের ভোট পেতে হবে।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের আত্মতুষ্টিতে না ভুগে সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। এই সাড়ে ১৪ বছর আগের চিত্র ও বর্তমান চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের বদৌলতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। আগামী নির্বাচনেই ফয়সালা হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে? নাকি হামিদ কারজাই মার্কা তাঁবেদারি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ক্ষমতা দখল করবে না।