ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন চার ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঁঠালিয়া উপজেলার সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে জলাশয়ের মাছ ও ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষখালি নদীর জোয়ারের পানি শৌলজালিয়া ও আমুয়া ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। পানি ঢোকায় ওই গ্রামগুলোর অধিকাংশ বাড়িঘর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, ফসলের ক্ষেত, গোয়াল ঘর ও পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় ভেসে গেছে মাছ।
এসব এলাকা দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হলো, কচুয়া, ফেরিঘাট, পূর্ব কচুয়া, শৌলজালিয়া, আমুয়া বন্দর ও চরের সিকদার পাড়া।
শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তিনি বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম নিলয় পাশা বলেন, নদী ভাঙন রোধে ৮৫৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রকল্প গৃহীত হলে নদী ভাঙনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।