মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় মদপানে দুই তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকেলে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক কে এম আলমগীর হোসাইন তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, রোববার রাতে এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন নিহত পারুল আক্তারের বাবা আব্বাস ব্যাপারী। ওই মামলার আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- নাটরের লালপুরের পোকগা গ্রামের মৃত মন্নান মন্ডলের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন পান্না ও ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে বাবু এবং মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাঘুরিয়া গ্রামের ইয়াদ আলী মাতুব্বরের স্ত্রী ডালিয়া বেগম। এছাড়াও এ ঘটনায় নিহত সাগরিকা আহমেদের সাবেক স্বামী ও মাদারীপুর পৌরসভাধীন আমিরাবাদ এলাকার মফেজ বয়াতীর ছেলে ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান বয়াতী ও কলেজ রোড এলাকার হাসান সরদারের ছেলে ও ভাড়া বাসার কেয়ারটেকার হেলাল সরদারের জামিন দেন আদালত।
নিহত সাগরিকার সাবেক স্বামী মজিবুর রহমান বয়াতী বলেন, তিন মাস আগে আমার সঙ্গে সাগরিকার বিচ্ছেদ হয়েছে। এরপর থেকে আমার সঙ্গে সাগরিকার কোনো যোগাযোগ নেই। ওর মারা যাওয়ার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। পুলিশকে আমি সবই বলেছি। তবুও আমাকে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সেলিম মিয়া বলেন, দুই তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত দুজনকে জামিন মঞ্জুর করেন ও অপর তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন।