নিজস্ব প্রতিবেদক :
“গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান” বাংলাদেশের সুপরিচিত একটি গানের ছন্দ যা এদেশের মানুষের মনে ধর্ম কর্ম নির্বিশেষে বিরাজ করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এম এ মালিকের সম্ভাব্য নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন পূজামন্ডপ সস্ত্রীক পরিদর্শন করেন।
বৃহঃপতিবার (০২ অক্টোবর) রাত ১.৩০টা পর্যন্ত তার নিজ থানা দক্ষিণ সুরমার জৈনপুর এলাকার মহালক্ষ্মী গ্রীবাপীঠ পূজামন্ডুপ সহ তার নির্বাচনী এলাকা সিলেট-০৩ এর বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
এম এ মালিককে মহালক্ষ্মী গ্রীবাপীঠে দুইমাস আগেই দাওয়াত দেওয়া হয়েছিলো বলেই এত রাতেও আমরা এসেছি ও এখনও বাসা যাওয়া হয়নি। এয়ারপোর্টে নেমে সস্ত্রীক বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করা হয়েছে।
মহালক্ষ্মী গ্রীবাপীঠে দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের নেতা তারেক রহমান আপনাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এম এ মালিক বলেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমাদের একটি কনসেপ্ট দিয়ে গেছেন “আমরা জাতীয়তাবাদী যেখানে আমরা মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ আরও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী সহ বাস করব, রাজনীতি করব, উৎসব পালন করব।” আমিও এটাই মেনে চলি।
এম এ মালিক বলেন ছোট বেলা থেকেই পূজার সময় বন্ধুরা সহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে আনন্দ ভাগাভাগি করতেন। আমাদের এ দেশ সম্প্রীতির দেশ।
এসময় তিনি সিলেট ৩ সংসদীয় আসন থেকে দল মননোয়ন দিলে নির্বাচন করার আশাব্যক্ত করে সবার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি উল্লেখ করেন দল যদি তাকে মনোনয়ন নাও দেয় তবু তিনি এই অঞ্চলের সকলের পাশে আছেন ও থাকবেন।
এ সময় মহালক্ষ্মী গ্রীবাপীঠের সাধারণ সম্পাদক ও স্টিয়ারিং কমিটির সমন্বয়ক জনার্দন চক্রবর্তী বলেন, ১৯৯১ সালেও যখন তিনি এম এ মালিককে ক্রিকেট খেলায় প্রধান অতিথি করেছিলেন তখনও তিনি অর্থনৈতিক ভাবে ৫,০০০ টাকা দিয়েছেলেন তা এখনকার ৫ লক্ষ টাকার সমান বলে মন্তব্য করে আরও বিভিন্ন অবদানের কথার স্মৃতিচারণ করেন।