বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কায় ভোলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান।
তিনি জানান, যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে জেলায় ৮৬৯ আশ্রয় কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৮ কন্ট্রোল রুম। দুর্যোগকালী ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)র ১৩ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্টের ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করবে। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিওকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯২ টি মেডিকেল টিম। জনস্বাস্থ্য অধিদফতরকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, ত্রাণের চাল ও নগদ টাকাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পাশাপাশি ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ২০ লাখ লাখ টাকা, দুর্যোগের জন্য ৩৪১ মেট্রিক টন চাল। শিশু খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং গো খাদ্যর জন্য ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক তামিম আল ইয়ামিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন অর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিপন কুমার সাহ, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ ভোলার সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম, ভোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু প্রমুখ।
এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার সঙ্গে লক্ষীপুর,বরিশাল, আলেকজান্ডার রুটের ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ। ভোলায় সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি দেড় থেকে ২ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন উপকূলবাসী।