সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

এমন শিক্ষক সম্মানিত হলে,জিতে যাই আমি

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪
  • ১৪১ বার পঠিত

কিছু শিক্ষক আছেন যাঁরা,সত্যিকার অর্থে অসাধারণ।জীবন যেভাবে আমরা প্রতিমুহূর্তে উদযাপন করি,পড়াশোনাটাকেও যে সেভাবে উদযাপন করা যায় তা এমন শিক্ষকের সংস্পর্ষে না আসলে অনুভব করা যাবে না।আজ এমন এক শিক্ষকের গল্প শোনাব,যে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে বসে অনায়াসে একজন শিক্ষার্থীকে পৃথিবীর যেকোন দেশের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে উপভোগ করাতে পারেন।যাঁর শিক্ষা আত্মার গভীরে অনুরণিত হয়। পাঠ্যপুস্তকের গণ্ডি পেরিয়ে, তিনি বিস্তৃত বিষয়গুলির পরিমণ্ডলে অনুসন্ধান করেন, প্রতিটি পাঠকে প্রাসঙ্গিকতার সাথে তুলে ধরেন।তিনি শুধু আমার শিক্ষকই নন একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বও বটে আমার জীবনে।বলছি ভারতের কালিম্পং এ জন্ম নেওয়া গুণী শিক্ষক সন্দীপা ম্যাডাম এর কথা।আমি দার্জিলিং এর পাহাড়ের স্কুলে আজ প্রায় ৫ বছর এবং এখানে আমার বিদ্যালয় জীবনের ইতি টানার শেষ মুহূর্তে এই গুণী মানুষটির কথা তুলে না ধরলেই নয়।শিক্ষক সন্দীপা ম্যাডামকে যা আলাদা করে তা হল জীবনের সুতো দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত জীবনের সফলতার বুনন বুনতে তার সহজাত ক্ষমতা। তাঁর শিক্ষার মাধ্যমে, বিষয়গুলি জীবন্ত হয়ে ওঠে, কল্পনাকে চিত্তাকর্ষক করে এবং জ্ঞানের জন্য অদ্ভুত এক তৃষ্ণা জাগায়।

দিনের শেষে যেমন সন্ধ্যে নামে ঠিক তেমনি তিনি অন্যরকম এক রূপে ফেরেন আমাদের বোর্ডিং স্কুলে।কখনও সাক্ষাৎ মা,কখনও পরম মায়ায় যত্ন নেওয়া বোন কখনও বা পরম বন্ধু।বাড়ির অনুপস্থিতিতে, তিনি পরিচিতির আলোকবর্তিকা হয়ে ওঠেন,তাঁর সান্ত্বনাদায়ক উপস্থিতি যা উষ্ণতা এবং আত্মীয়তার অনুভূতি জাগিয়ে তোলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অনুভূতিতে। শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর নিবেদিত প্রাণ গুণটি শ্রেণীকক্ষের বাইরেও সমানভাবে প্রসারিত। তিনি শুধুমাত্র একজন ছাত্রের সফলতা নয়,শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।শিক্ষার্থীদের প্রতি যাঁর সহানুভূতি চোখে পড়ার মতো।তাঁর মধ্যে, শিক্ষার্থীরা কেবল একজন শিক্ষককে নয়, একজন পরামর্শদাতা সর্বোপরি একজন আর্দশবান মানুষকে খুঁজে পায়।

খুব বেশিদিন নয়,আমার শিক্ষক সন্দীপা ম্যাডাম ভারতের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইন্সপিরিয়া কর্তৃক ‌‍”গুরু সম্মান পুরষ্কারে” ভূষিত হন। যে স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন তা কেবল তাঁর শিক্ষাদানের দক্ষতার প্রমাণ নয়, বরং তার শিক্ষার্থীদের সাফল্যের প্রতি তার অটল প্রতিশ্রুতির এক সফল গল্পের আখ্যান।পর্দার আড়ালে অক্লান্ত পরিশ্রম করা সত্ত্বেও, তার প্রভাব প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবন জুড়ে প্রতিফলিত হয়,ভবিষ্যত প্রজন্মেকে সত্যিকার অর্থে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমি সৌভাগ্যবান যে আমার যেকোন সিদ্ধান্তে তাঁর দিকনির্দেশনা পেয়েছি।আমাদের জন্য, শিক্ষক সন্দীপা ম্যাডাম শুধু একজন শিক্ষাবিদ নয়; আলোর বাতিঘর। তার শিক্ষাদান কেবল জ্ঞানই নয়, আমাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে।

এমন শিক্ষক যথন সম্মানিত হয়,তখন জিতে যাই আমি। শিক্ষক সন্দীপা ম্যাডাম ছাত্রদের জীবনে একজন শিক্ষকের গভীর প্রভাবের অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে। তিনি শিক্ষার প্রকৃত সারমর্মের উদাহরণ দেন – শুধু জ্ঞান প্রদানই নয়, কৌতূহলের শিখা জ্বালিয়ে নতুন উচ্চতায় ওঠার জন্য আত্মাকে লালন করা।শুধু আমার নয়,হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্নের স্থপতি সন্দীপা ম্যাডামকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
শিক্ষক শব্দটা ছোট হতে পারে,কিন্তু এর ব্যাপকতা যেকোন কিছুকে ছাড়িয়ে যায়।একজন আর্দশ শিক্ষক,আর্দশ জাতির পরিচয় সৃষ্টি করেন।আসুন সন্দীপা ম্যাডাম এর মতো এমন আর্দশ শিক্ষকদের ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি।ভালো থাকুক আমার শিক্ষক।

লেখক-অভ্র বড়ুয়া,শিক্ষার্থী,দার্জিলিং,ভারত

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

আজ থেকে স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু, নেই মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটা সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এই প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—এবার ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বয়স জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন—২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম-নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দক্রম দেওয়া যাবে অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি কোনো স্কুলেই একটি শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়া ঢাকা মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়া থেকে শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার এ কোটা সুবিধা পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্বাচন করতে হবে। ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এরপর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে। মেধা-অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত ভর্তি ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তাছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনর্ভর্তি ফি নেওয়া যাবে না। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশই কোটা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশই ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। তাছাড়া বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে এবার কোটা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে। জানা যায়, প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী লটারিতে অংশ নিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য চেষ্টা করেন সব অভিভাবক। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। এবার তারা লটারি পদ্ধতি বাদ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সময় স্বল্পতার কারণে অভিভাবকদের দাবি এবার বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব না হলেও আগামীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com