সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের এক দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর কাওরানবাজার ও মহাখালী আমতলী রেললাইন অবরোধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে থানা কমলাপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস। তিনি জানান দুপুর ১২টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রেলপথের বাইরে থাকা স্লিপার তুলে রেললাইনের ওপর রাখা হয়েছে এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অনেকের মাথায়ও বাঁধা রয়েছে জাতীয় পতাকা।
এদিকে, সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এমন আদেশকে ‘আন্দোলন দমানোর কৌশল’ হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, আন্দোলন দমানোর চেষ্টা না করে একটি কমিশন গঠন করে কোটা ইস্যুর স্থায়ী সমাধান করুন। এছাড়া ছাত্রসমাজ রাজপথ ছাড়বে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। স্থায়ী কোনো সমাধান দেননি। আমরা চাই সরকারের নির্বাহী বিভাগ একটি কমিশন গঠন করে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করুক।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত কোটা থাকতে পারে। দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত সারা দেশে আন্দোলন চলবে।