ঢাবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮ এর সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্য, ২০১৮ সালে প্রণীত রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের একটি ধারায় ‘Speech and Language Therapist’ এর যোগ্যতার মাপকাঠি হিসাবে একমাত্র এই বিষয়ের ওপর বিএসসি ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা বৈষম্যমূলক, ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো-বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১৮-এর বৈষম্যমূলক ধারা সংস্কার করে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিএসসি ইন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজি এবং অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে এমএসএস ইন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজি ডিগ্রি তপশিলভুক্ত করতে হবে; বিদ্যমান ৩২ সদস্যের রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের প্রশ্নবিদ্ধ সদস্যদের বাদ দিয়ে সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কাউন্সিলের যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পেশাজীবীদের প্রতি হয়রানিমূলক রিট উইথড্র করতে হবে এবং উপরোক্ত দাবিগুলো পূরণ করার আগে এ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের মাধ্যমে কোনো তপশিল বা নীতিমালার খসড়া যেমন-রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বীকৃতিবিষয়ক নীতিমালা ২০২৪ ও রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন ও প্র্যাকটিশনার লাইসেন্স-২০২৪ প্রদান অনুমোদন করা যাবে না।
তাদের ভাষ্য, ২০১৮ সালে প্রণীত রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের একটি ধারায় ‘স্পিচ আন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট’-এর যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে একমাত্র এ বিষয়ের ওপর বিএসসি ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা বৈষম্যমূলক, ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারসের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল হাসান, নিসর্গ নিঝুম, নাবিদ নেওয়াজ এবং মাসুম বিল্লাহ। এ সময় বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।