হাফসা উত্তরা : রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার আমির হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে উঠেছে তানজিম মাহমুদ তনু দম্পতি। সে সাথে তাদের দুই শিশু সন্তান ও অসুস্থ হয়ে উঠে।
সাংবাদিকতার পেশায় জানা যায়, ঐদিন পেশাগত কাজ শেষে রাতে আমির হোটেল থেকে পরিবারের জন্য খাবার নিয়ে বাসায় যান। ভুক্তভোগী তনু বলেন,
গত ০৫-০৫-২০২৫ইং সোমবার উত্তরার কসাইবাড়ি রেলগেট সংলগ্ন আমির হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে যান কিছু খাবার কেনার জন্য। ৮৫০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে আসেন চিকেন, বিফ ও বিরিরানী। রাত ন’টায় কিছুটা খাবার খাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন খাবারগুলো গন্ধযুক্ত। তৎক্ষণাৎ সেগুলো ফেলে দেন। কিন্তু বিপত্তি দেখা যায় একমাত্র পুত্র ও একমাত্র কন্যা শিশু সন্তানকে নিয়ে। খাবার খেয়ে দুই শিশুই অসুস্থ হয়ে পড়ে। টানা বমি করতে করতে শরীরে আসে প্রচন্ড জ্বর।
এ সময় সাংবাদিক দম্পতি নিজেকে সামলে নিলেও দুই শিশু পারেনি নিজেকে সামাল দিতে।
অতঃপর স্থানীয় এমবিবিএস ডাক্তার দেখিয়ে দুই শিশুর চিকিৎসা করা হয়।
তনু আরো বলেন,এখন পর্যন্ত দুই শিশু অসুস্থ হয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি ফোন করেন রেস্টুরেন্ট এর ম্যানেজার কবিরকে,কিন্তু ম্যানেজার বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, আমাদের সব খাবারই টাটকা থাকে।ম্যানেজার কবির ওই সাংবাদিককে ডাকেন, তার সঙ্গে দেখা করার জন্য।
গোপন সূত্রে জানা যায়, আমির হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিকের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের একজন সচিবের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ঐ সচিবের ক্ষমতা দিখিয়ে
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভোক্তাদেরকে দিনের পর দিন বাসি, নোংরা ও পঁচা খাবার পরিবেশন করে আসছেন।
প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
স্থানীয়রা বলেন, হোটেলের লোকজন
যেখানে একজন গণমাধ্যম কর্মীর সঙ্গে প্রতারণা করে,সেখানে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা সেটা সকলেরই বোধগম্য। এলাকাবাসীর দাবি, অনতিবিলম্বে আমির হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর মালিককে আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। এসময় এলাকাবাসীরা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন। আমির হোটেলের খারাব খেয়ে শিশু সহ ৪ জন অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে হোটেল ম্যানেজার কবির বলেন,ভুক্তভোগী তার হোটেল থেকে রাতে খাবার নিয়েছে এটা সত্যি , এ খাবার অনেকেই খেয়েছে এবং নিয়েছে। এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত অন্য আর কেউ অভিযোগ করেনি।