খালেদা জিয়া ভালো আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব। শনিবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
জেনারেল মাহবুব জানান, যে অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তিনি তার চেয়ে ভালো আছেন। দাঁতের সমস্যার চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হয়েছিলো। যে দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হয়েছিলো সেই দাঁতটা ধারালো ছিল। সেটা ভোতা করা হয়েছিলো। এখন সেটা আবার ধারালো হয়ে মাড়িতে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে। ধারালো অংশটি গ্রাইন্ডিং করে সমান করে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, চিকিৎসার পর বেগম খালেদা জিয়া জানিয়েছেন তিনি ভালো আছেন। তার এখন ভালো বোধ হচ্ছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন দ্রুত তার ক্ষত সেরে যাবে। তার বাকি দাঁতগুলোও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে সেগুলোর নার্ভ মোটামুটি ভালো আছে, তবে কয়েকটি দাঁতে ভবিষ্যতে ফিলিং করা হতে পারে।
এর আগে তার দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন ধরা পড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লক থেকে এ ব্লকের ডেন্টাল ইউনিটে নেয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আবারও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন: গত এক সপ্তাহে খালেদা জিয়ার চার কেজি ওজন কমেছে। তিনি শুকিয়ে গেছেন। তিনি খেতে পারছেন না। তার স্বাস্থ্যের যে অবস্থা, তা এলার্মিং। তার ডায়াবেটিস বিশের নীচে নামছেই না। তিনি পা সোজা করতে পারছেন না। হাঁটতে তো পারেনই না, হুইল চেয়ার ছাড়া তিনি চলতেই পারেন না। তাকে হুইল চেয়ারে করেই ওয়াশ রুমে, শাওয়ার নিতে অথবা বিছানায় নিতে হয়। অথচ সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের লোকেরা বলে বেড়াচ্ছে যে, আমরা তার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য নিয়ে প্রতিদিন বলে বেড়াচ্ছি। তার স্বাস্থ্য নিয়ে তার পরিবার, আমরা, দেশবাসী সবাই চরম উদ্বিগ্ন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালত তাকে চার মাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় তিনি মুক্তি পাননি।