নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: পানি বন্টন চুক্তি অনুসারে গঙ্গার পানির সম্ভাব্য সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার সমীক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারত আজ শুক্রবার এক যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন করেছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সচিব পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এক যৌথ মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার এ কথা জানান।
আনোয়ার বলেন, উভয়পক্ষই সাতটি অভিন্ন নদী- মানু, মুহুরী, খোয়াই, ফেনী, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তার অভ্যন্তরীণ পানি বন্টন চুক্তির অবকাঠামো প্রস্তুতে ঐক্যমতে পৌঁছেছি।
তিনি বলেন , পদ্মা- মেঘনা ও যমুনা-এ তিন নদীর অববাহিকা ভিত্তিক যৌথ কাজ করার লক্ষে এক ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে নদী ব্যবস্থাপনা, পানি দুষণ প্রতিরোধ ও বাঁধ নির্মাণ নিয়ে কাজ করা নিয়েও আলোচনা হয়।
তিনি জানান, দিল্লি আশ্বস্ত করেছে যে বালাদেশের সঙ্গে আলোচনা ব্যতিরেকে হিমালয়ের আন্তঃসীমায় অবস্থিত নদীগুলোতে কোনো আন্তঃসংযোগ প্রকল্প গ্রহন করবে না।
এ বৈঠককে এক নতুন যাত্রা হিসেবে উল্লেখ করে আনোয়ার বলেন, প্রায় আট বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্তের পর অনুষ্ঠিত বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি দ্বীপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করবে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পানি সম্পদ সচিব উপেন্দ্র প্রসাদ শিং। উপেন্দ্র প্রসাদ শিং বলেন, উভয় দেশই অভ্যন্তরীণ পানি বন্টনের অবকাঠামো প্রস্তুতে সাতটি নদীর অধিকতর হালনাগাদ উপাত্ত সংগ্রহে কাজ করবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্বেও ১৯৯৬ সালের পানি বন্টন চুক্তি সন্তোষজনকভাবে কাজ করছে।
বৈঠক শেষে উভয়পক্ষ আলোচনার রেকর্ডে স্বাক্ষর করে।
এর আগে ভারতের পানিসম্পদ সচিব বাংলাদেশের পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।