নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: রাজধানীর মিরপুর সেকশন-৭ রূপনগর থানার পেছনে চলন্তিকা মোড়ে বস্তির আগুনের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘বস্তিতে ২০ থেকে ২৫ হাজারের মতো ঘর ছিল, এই আগুনে তার প্রায় সবই পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার লোকের বাস ছিল। তাদের অনেকেই ঈদে গ্রামে গেছে, তারা আসে নাই এখনও।’
শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, ২০১৭ সালে থেকে বস্তিবাসীদের থাকার জন্য ১০ হাজার ফ্ল্যাট প্রস্তুত করা হচ্ছে। বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য সেটার কাজ শুরু হয়ে গেছে। যাদের স্থায়ী ঠিকানা লেখা রয়েছে বস্তি, তারাই ওখানে যেতে পারবে।’
‘আমরা সবাই মাঠে আছি। আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যোগাযোগ হচ্ছে’, বলেন আতিকুল।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘আমাদের পাঁচটা স্কুল নির্ধারিত হয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা সেখানে থাকবেন। তার সঙ্গে সঙ্গে তাদের জন্য রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত থাকার ব্যবস্থা না হচ্ছে, তাদের জন্য রান্নার ব্যবস্থা থাকছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা রাতে, সকাল বেলা কই খাবে? তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেছে। আমরা এক জায়গাতে রান্না করব। পরে সেগুলো স্কুলে স্কুলে বিতরণ করব। সবাই মিলে কাজ করতে পারলে আমরা এই বিপদ থেকে মুক্তি পাব।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় এমপি এই ব্যবস্থা করেছেন বলেও জানান মেয়র।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ওই ভয়াবহ আগুন লাগে। পরে সাড়ের তিন ঘণ্টা পর রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট।