আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: কাশ্মীরের বেশ কিছু স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা যায়নি একেবারেই। ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে সেখানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই গত শুক্রবার বিভিন্ন সরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। আর সোমবার থেকে কিছু স্কুল খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে যেসব স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে সেগুলো মূলত সরকারি স্কুল এবং বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধই আছে। যেসব স্কুল খুলেছে তাতে সোমবার ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি একেবারেই দেখা যায়নি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে এখনো অবরুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করছে।
কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, সবচেয়ে বড় শহর শ্রীনগরে দু’শোর মতো স্কুল খুলে দিয়েছেন তারা। কিন্তু অনেক স্কুলে গিয়েই কোন শিক্ষার্থীর দেখা পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলছেন, নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। সে কারণেই সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন তারা। ব্যাপক নিরাপত্তা সত্ত্বেও বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ হচ্ছে এবং প্রায়ই তা সহিংস রূপ নিচ্ছে।
কাশ্মীর একটি বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড যার দুটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত শাসিত অংশ জম্মু ও কাশ্মীর এতদিন বিশেষ মর্যাদা পেলেও সম্প্রতি একে দু’ভাগ করে রাজ্যের মর্যাদায় নামিয়ে আনা হয়েছে। অংশ দুটি এখন সরাসরি দিল্লির শাসনে রয়েছে।
বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে কেন্দ্র করে মূলত কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এবং সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি ল্যান্ডলাইন কিছুটা চালু হলেও বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা এখনো বন্ধ আছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে দেয়ার পরিবর্তে বাসায় রাখতেই স্বস্তি পাচ্ছেন। বিশেষ করে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু না হওয়া পর্যন্ত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক স্কুল শিক্ষকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এ ধরনের ‘অনিশ্চিত অবস্থায়’ তারা শিক্ষার্থীদের স্কুলে আশা করেন না। তিনি আরও বলেছেন, অনেক স্কুল এখনো বন্ধ আর শিক্ষকরাও খুবই কম এসেছে।