নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটিজেন নিউজ: মাত্র ১৪ কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু জুট স্টাফলার্সের শেয়ারের দাম বেড়ে দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে। শেষ ১৪ কার্যদিবসে কাম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭২০ টাকা।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২২ জুলাই থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম টানা বাড়ছে। ২২ জুলাই মুন্নু জুট স্টাফলার্সের শেয়ারের দাম ছিল ৬৮৬ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে টানা বেড়ে ২০ আগস্ট লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২৯ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের কম সময় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭৪২ টাকা ১০ পয়সা বা ১০৮ শতাংশ।
এর মধ্যে ২৪ জুলাই থেকে শেষ ১৪ কার্যদিবসেই বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। ২৪ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৭০৮ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ শেষ ১৪ কার্যদিবসে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭২০ টাকা ২০ পয়সা বা ১০২ শতাংশ।
অন্যভাবে বলা যায়, ১৪ কার্যদিবসের ব্যবধানে মুন্নু জুট স্টাফলার্সের শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক শূন্য ২ গুণ। অর্থাৎ কোনো বিনিয়োগকারী ২৪ জুলাই কোম্পানিটির ১০ লাখ টাকার শেয়ার কিনে ধরে রাখলে বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়ায়িছে ২০ লাখ ১৬ হাজার টাকায়। সে হিসাবে ১০ লাখ টাকা ১৪ কার্যদিবস খাটিয়ে লাভ পাওয়া যাচ্ছে ১০ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও সম্প্রতি কোম্পানিটি কোনো মূল্য সংবেদশীল তথ্য প্রকাশ করেনি। অবশ্য গত ২ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তৃতীয় প্রান্তিকের (২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসের ব্যবসায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি মুনাফা করেছে। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৯৫ পয়সা। মুনাফা এমন উল্লম্ফন হলেও সে সময় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়েনি। উল্টো টানা কমেছে।
২০১৭-১৮ হিসাব বছরে বড় অঙ্কের লভ্যাংশ দিলেও ১৯৮২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু জুট স্টাফলার্সের লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটা ভালো নয়। ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৫-১৬ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
তবে ২০১৭-১৮ হিসাব ছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে তিনশ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। বড় অঙ্কের এ লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কোম্পানিটির ১০ টাকার শেয়ারের দাম ৫ হাজার ৬৩৪ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
স্বল্প মূলধনের কোম্পানিটির বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি সাত লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বিদেশিদের কাছে আছে দশমিক শূন্য এক শতাংশ শেয়ার।