সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সহায়তা চাইলেন রাষ্ট্রপতি

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
  • ২৫০ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক, সিটিজেন নিউজ: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ বাসভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেছেন।

ঢাকায় চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আজ বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে মো. আবদুল হামিদ এ সহায়তা কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমি আশা করব চীন মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।’

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ কোনো ধরনের সংঘর্ষে বিশ্বাস করে না এবং বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করতে চায়।

এর আগে চীনা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চমৎকার এবং এ সম্পর্ক ধাপে ধাপে সম্প্রসারিত হচ্ছে।

চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে আগামী দিনগুলোতে এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ‘চীনের অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতায় এখানে অনেক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।’

বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি চীনের সরকারকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। চীন সরকারের ‘এক চীন’ নীতি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এক চীন নীতির সমর্থনে অবিচল রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে তাদের বিনিয়োগের জন্য একটি উত্তম গন্তব্য মনে করে এবং ইতোমধ্যে অনেক চীনা কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করেছে।

লি জিমিং তার দেশ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে এখানে দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।

পরে বাংলাদেশে কসোভোর প্রথম আবাসিক রাষ্ট্রদূত গানিয়ার উরেয়াও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।

ঢাকায় কসোভোর রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ঢাকায় আবাসিক মিশন খোলার সিদ্ধান্তের জন্য কসোভো সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

প্রেস সচিব রাষ্ট্রপতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘এই নিয়োগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে একটি বহুপক্ষীয় সম্পর্কে রূপ নেবে।’

রাষ্ট্রপতি মো. হামিদ রাষ্ট্রদূতকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা অনুসন্ধানে অধিকতর সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কসোভোর জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের সংহতির একান্ত নিদর্শন হিসেবে কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

গানিয়ার উরেয়া কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রাষ্ট্রদূতদ্বয় বঙ্গভবনে এসে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকশ কন্টিনজেন্ট পৃথকভাবে তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com