অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘ল্যাম্প অব পিস’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ইতালির ভ্যাটিকানের বাসিলিকা অব সেইন্ট ফ্রান্সিস তাকে এই পুরস্কার প্রদান করেন। দ্য হোলি কনভেন্ট অব প্যাপাল বাসিলিকা অব আসিসির মুখপাত্র ও পরিচালক যোগাযোগ ফাদার এনজো ফরতুনাতো গত ২৮ জুন ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ৯ম সামাজিক ব্যবসা দিবসের উদ্বোধনী দিনে পোপ ফ্রান্সিসের প্রতিনিধি হিসেবে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেন।
আপার প্যাপাল বাসিলিকা অব আসিসিতে আয়োজিত একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ভ্যাটিকানের পক্ষে প্রফেসর ইউনূসের হাতে পুরস্কার তুলে দেন হোলি কনভেন্ট এবং প্যাপাল বাসিলিকা অব আসিসির মাস্টার ফাদার মওরো গামবেত্তি।
পুরস্কার গ্রহণকালে বক্তৃতায় মানবজাতির সামনে তিনটি আসন্ন সংকটের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রফেসর ইউনূস। সংকট তিনটি হলো- সম্পদের প্রবল ও ক্রমাগত কেন্দ্রীকরণ, পরিবেশের দ্রুত বিপর্যয় এবং আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের উত্থান।
এগুলোর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এই গুরুতর সংকটগুলো মোকাবিলায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারলে পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে।
১৯৮১ সালে পোলান্ডের প্রখ্যাত ট্রেড ইউনিয়ন নেতা লেস ওয়ালেসাকে প্রথম এই পুরস্কার দেয়া হয়। পোপ দ্বিতীয় জন পল, দালাই লামা, কোলকাতার সেইন্ট তেরেসা এবং রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কলম্বিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসকে তার নিজ দেশের গৃহযুদ্ধ বন্ধে অবদানের জন্য ২০১৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের পাশাপাশি এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সম্প্রতি আরও দুজনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন, জার্মানীর প্রেসিডেন্ট অ্যাঙ্গেলা মের্কেল ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। অ্যাঙ্গেলা মের্কেলকে এই পুরস্কার দেয়া হয় মানুষে-মানুষে সংহতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিষ্ঠায় তার উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য। জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহকে মানবাধিকার, আন্তঃধর্ম সংলাপ ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান এবং সংঘাতপূর্ণ সিরিয়া থেকে দেশত্যাগকারী রিফিউজিদেরকে তার দেশে আশ্রয়দানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।