অনলাইন ডেস্ক, সিটিজেন নিউজ: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে সাক্ষরতা কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। তিনি এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস- ২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, শিক্ষা হলো জ্ঞান অর্জনের মূল ভিত্তি। আর সাক্ষরতা অর্জন হলো শিক্ষার প্রাথমিক সোপান।
তিনি মনে করেন, এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘বহু ভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’ চলমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুরা মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষা শিখলে, তা বিভিন্ন দেশ ও জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। একই সঙ্গে নতুন নতুন অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন এবং সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, রূপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও সপ্তম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণসহ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম মানবসম্পদে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, শতভাগ উপবৃত্তি বিতরণ, স্কুল ফিডিংসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিদ্যালয়বহির্ভুত শিশু-কিশোরদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় সেকেন্ড চান্স প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদান, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।
শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনমিতি অনুসারে বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এ বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত স্তরে পৌঁছাতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাতে হবে।
আবদুল হামিদ আশা করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। তিনি ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।