ডেস্ক: রোহিঙ্গা সংকটের কোনো দ্রুত সমাধান নেই বলে মনে করেন জাতিসংঘের সাবেক উপ-মহাসচিব লর্ড জর্জ মার্ক মালোক ব্রাউন। এ সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর এক হোটেলে কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিকতা: অংশীদারিত্বের ভবিষ্যত সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এটি উদ্বাস্তুদের এক ধ্রুপদী দ্বিধা…বাস্তবতা হলো, এ (উদ্বাস্তু) সমস্যা নিজেদের দ্রুত সমাধান হতে দেয় না। এটি এক অবিচল সমস্যা।’
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
মালোক ব্রাউন বলেন, এ বিষয়টি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অংশের ‘অত্যন্ত গভীর ধৈর্য ও মানবিকতা’ দরকার। কারণ দেশের এক অংশে এমন আকারের উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠী এক বিশাল বোঝা।
‘একটি সমাধানে পৌঁছাতে মিয়ানমারকে রাজনৈতিক চাপ দিতে শুধু জাতিসংঘ নয়, সেই সাথে রাষ্ট্রগুলোও এগিয়ে আসেনি বলে যে কথা রয়েছে তার সাথে আমি ভিন্নমত পোষণ করি না,’ বলেন তিনি।
জাতিসংঘের সাবেক উপ-মহাসচিব বলেন, মিয়ানমারে অনেক রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটা দরকার এবং এ পরিবর্তনের জন্য দেশটির প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
‘আমি বাংলাদেশকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাই,’ বলে তিনি উল্লেখ করেন যে উদ্বাস্তুরা থাকার জন্য আসেনি কিন্তু তারা যাতে থাকতে পারে সে জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, এখানকার হতাশা ও সমাধান খুঁজে পাওয়ার প্রয়োজনীয়তা জাতিসংঘ উপলব্ধি করে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। ‘আমি মনে করি এ বিষয়টি যাতে রাজনৈতিক গুরুত্ব পায় সে জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে বাংলাদেশের সাথে (জাতিসংঘ) কাজ করতে চায় এবং তাদের সমাধানের দিকে যাওয়া দরকার।’
মালোক ব্রাউন বলেন, অর্থনীতিতে এ অপ্রত্যাশিত বোঝার জন্য বাংলাদেশিদের মাঝে যে হতাশা রয়েছে তা বোধগম্য।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর কঠিন দিনগুলোতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এ দেশকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল। ‘তাই, বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য জাতিসংঘ খুবই প্রাসঙ্গিক, যে দেশ ভূরাজনৈতিক কারণে মাঝে মধ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে।’
তবে তার মতে, এফএও, ডব্লিউএইচও ও আইএলও’র মতো জাতিসংঘের কিছু মূল্যবান সংস্থাকে এখন পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।