 
							
							 
                    বিনোদন প্রতিবেদক: ঢাকায় শুরু হচ্ছে ১০ দিনব্যাপী ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব’। এ উৎসবে বাংলাদেশ-ভারত মিলিয়ে ৪০টি নাটক প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৩৬টি নাট্যদল নাটক মঞ্চে আনবে। ভারত থেকে থাকবে চারটি দল।
আগামী শুক্রবার (১১ অক্টোবর) থেকে শুরু হবে উৎসব। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় উদ্বোধনী নাটক হিসেবে মঞ্চস্থ হবে প্রাঙ্গনেমোর’র আলোচিত প্রযোজনা ‘হাছনজানের রাজা’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটি প্রদর্শিত হবে। এটি হতে যাচ্ছে নাটকটির ২০তম মঞ্চায়ন। শাকুর মজিদের রচনায় নাটকটির নির্দেশনায় রয়েছেন অনন্ত হীরা।
এ নাটকে অভিনয়ে থাকছেন না প্রাঙ্গনেমোরের প্রধান দুই সদস্য নূনা আফরোজ ও অনন্ত হীরা। এ প্রসঙ্গে নূনা বলেন, ‘আসলে এই নাটকে আমাদের চরিত্র ডিমান্ড করেনি। এ কারণে অভিনয়ে থাকছি না। এছাড়া নতুনদের সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারটিও ছিল। এককথায় মনে হয়েছে এই নাটকে আমাদের অভিনয় না করলেও চলে। তবে অভিনয়ে না থাকলেও আমাদের অংশগ্রহণ তো থাকছেই। মানে নির্দেশনায় হীরা আর আমি রয়েছি পোশাক পরিকল্পনায়।’
‘হাছনজানের রাজা’ নাটকের একটি দৃশ্য নাটকটিতে হাছনরাজার চরিত্রে অভিনয় করছেন রামিজ রাজু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হাছনরাজা সম্পর্কে যথার্থ ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে তার জীবন-কাহিনিতে কল্পনার মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। তার যে রমণীগণ ছিল, জীবনযাপন পদ্ধতি ছিল সেসব তথ্য যেন এক প্রকার কাল্পনিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।’
নাটকটির বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয়ে রয়েছেন আউয়াল রেজা। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে থাকছেন- মাইনুল তাওহীদ, সাগর রায়, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, আশা, প্রকৃতি, প্রীতি, সুজয়, নীরু, সুমন, বাঁধন ও রুমা।
‘হাছনজানের রাজা’র মঞ্চ পরিকল্পনায় ফয়েজ জহির। সংগীত পরামর্শে শিল্পী সেলিম চৌধুরী। সংগীত পরিকল্পনায় রামিজ রাজু। আলোক পরামর্শে ঠান্ডু রায়হান। আলোক পরিকল্পনায় তৌফিক আজীম রবিন। পোশাক পরিকল্পনায় নূনা আফরোজ।