আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজধানী তিবলিসির একটি আদালত প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ ডলার জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য গারিবাশভিলিকে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
শুনানির সময় আদালতে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান গারিবাশভিলি। বিচারক তাঁকে কোনো মন্তব্য করতে চান কি না জানতে চাইলে তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, “কিছুই না।”
পরে তাঁর আইনজীবী আমিরান গিগুয়াশভিলি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর মক্কেল কারও বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য দেননি।
প্রসিকিউটর জেনারেল জিওর্গি গভারামিদজের মতে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী উভয় পদে দায়িত্ব পালনকালে গারিবাশভিলি “গোপন ও অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যকলাপে” যুক্ত ছিলেন।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আয় করেছেন এবং বিভিন্ন কোম্পানি ও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে সেই অর্থ পাচার করেছেন।
প্রসিকিউটর জেনারেল গভারামিদজে আরও বলেন, “মন্ত্রী পদে থাকাকালে গারিবাশভিলি গোপনে নানা ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এবং অবৈধ উৎস থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তাঁর আয় ও ব্যয় উভয়ই ঘোষণা করতে বাধ্য ছিলেন।”
জর্জিয়ার দণ্ডবিধির ১৯৪ ধারার ৩(জি) উপধারা অনুযায়ী, এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে গারিবাশভিলির সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১২ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।