নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রধান শক্তি যুবসমাজ। তাই যুবগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার।
আজ শনিবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তিপত্র তুলে দেয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে যুবকদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়া।
আনিসুল হক বলেন, আজকের বিশ্ব জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিশ্ব। এই নতুন বিশ্বে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে জাতি যত সাফল্য অর্জন করবে, সে জাতি জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে ও মানবিক গুণাবলী বিকাশে ততটাই অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি লাভ করবে। সেজন্য বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষার অধিকার ও মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করতে কারিগরি শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অধিকতর বিনিয়োগ করছে সরকার। ফলে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষার প্রসারে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তিপত্র তুলে দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এ বছর এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩ হাজার ১৮ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক শ্রেণিতে অধ্যয়নের জন্য মাসিক ৩ হাজার টাকা হারে বৃত্তি দিচ্ছে। এই শিক্ষাবৃত্তির ৯০ ভাগ দেয়া হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের। নিঃসন্দেহে এটি ব্যাংকের মহতী উদ্যোগ। এই উদ্যোগ আসলে ৩ হাজার ১৮টি পরিবারকে আলোকিত করার উপলক্ষ তৈরি করে দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষার্থীর জীবন সংগ্রামের গল্প শুনে মনে হলো চরম দরিদ্রতাও তাদের আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছাশক্তি, প্রতিভাকে পরাস্ত করতে পারেনি। কঠিন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদেরকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য করে তুলেছে তারা। ডাচ-বাংলা ব্যাংক বৃত্তি দিয়ে তাদের মেধা বিকশিত করার সুযোগ করে দিলো, তাদের পিতা-মাতার ওপর চাপ কমিয়ে দিলো।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন বক্তৃতা করেন। বৃত্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।