নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সারা দেশে চলছে ‘লকডাউন’। বন্ধ যান চলাচল, ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে দেশের আম ব্যবসা।
গত বছরের তুলনায় এবার ফলন কিছুটা কম হলেও দেশজুড়ে কার্যত লকডাউনের কারণে আম বিক্রি করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছেন বাগান মালিকরা।
যদিও কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, আমের উৎপাদন ও বিপণন ঠিক রাখতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
কিন্তু আগাম বাগান কিনতে আড়তগুলোয় ব্যাপারীদের যে ভিড় থাকতো, এবার তা চোখে পড়ছে না। এছাড়া স্থানীয় বাজারগুলোও জনশূন্য।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এবার ২ লাখ ৩৫ হাজার একর জমিতে ১২ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় আশা করছে, এবারের উৎপাদিত সব আম দেশের ভেতরেই বিক্রি হয়ে যাবে।
অবশ্য ‘লকডাউনে’র মধ্যে কৃষি পণ্য পরিবহনে কোনো বাঁধা নেই। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান জানান, এক জেলা থেকে আরেক জেলায় আমের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হবে না। কয়েকদিনের মধ্যেই আমচাষী ও আড়তদাররা প্রতিটি জেলা-উপজেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা প্রশাসক ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
রাজশাহী জেলার কৃষি কর্মকর্তা শামসুল হক এবারের আমের বাজার নিয়ে বলেন, রোজা শেষ হওয়ার পর আমের বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠবে এবং কৃষকরা ভালো দাম পাবেন।
তবে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যে আম রফতানি করা হতো এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা