বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের দাপটে পশ্চিমবঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বর্ষণ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ মে, ২০২০
  • ১৫২ বার পঠিত

নিউজ ডেস্ক: প্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের দাপটে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বর্ষণ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

আজ বুধবার সকালেই পুরোদমে আছড়ে পড়তে প্রস্তুত রয়েছে এ শতকের প্রথম ‘সুপার সাইক্লোন’ আম্পান। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রায় তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মারাত্মক শক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব উপকূলের দিকে ক্রমেই এগিয়ে আসছে।

ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম এই সময় জানায়, সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে। বেলা বাড়লেই শুরু হবে তাণ্ডব। ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ।

পশ্চিমবঙ্গের ওপর আছড়ে পড়ার সময় আম্পানের গতিবেগ সাধারণত থাকবে ঘণ্টায় ১৬৫ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার, যা সর্বাধিক ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। উপকূলবর্তী এলাকায় তিন থেকে চার মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ভারতের মৌসুম ভবনের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, আম্পানের চেয়ে ফনির বীভৎসতা অনেক বেশি ছিল। তবে আম্পানের প্রভাব বুলবুল বা আইলার চেয়ে মারাত্মক হবে।

এদিকে উড়িষ্যায় উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সেখানে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস বইছে এবং ভারি বর্ষণ হচ্ছে।ঝড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্থাপনা ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দেশটির জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই উড়িষ্যার পারাদ্বীপে সর্বোচ্চ ১০৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। চান্দবালিতে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়।বেলাশোরে ৫৭ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে।আর ভুবনেশ্বরে ৫৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে।মুষলধারে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।বিকালের দিকে এই ঝড় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছ পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো।

এই সমযের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুন্দরবনের কাছ দিয়ে উপকূলে উঠে আসার সময় আম্পান ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে।

পথে কিছুটা দেরি হলেই ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়ে যেতে পারে উপকূলীয় এলাকা। বড়সড় পরীক্ষার সামনে পড়বে সুন্দরবনের বাঁধ। কারণ, রাত পৌনে ৯টার সময় সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছবে জোয়ার।

এদিকে আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে প্রলয়ংকারী এই ঘূর্ণিঝড়। উপকূলবর্তী এলাকায় ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হচ্ছে। ১৫ মিটার উচ্চ জলোচ্ছাস বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

১০ নম্বর সংকেত থাকবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে। এছাড়া সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর জেলাতেও দেখানো হচ্ছে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।

আঝ বুধবার ভোর ৬টার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com