রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

সৃজিত-মিথিলার নিরানন্দ জামাইষষ্ঠী

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০
  • ১৮০ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালি সমাজে জামাইষষ্ঠীর সামাজিক গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিশেষ করে যে পরিবারে সদ্যবিবাহিত কন্যা আছে, সে পরিবারে এ পার্বণ ঘটা করে পালন করা হয়। বলা হয়ে থাকে বিয়ের পর দুই পরিবারের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠার একটি সেতুবন্ধন জামাইষষ্ঠী।

গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল জামাইষষ্ঠী। বিয়ের পর সৃজিত মুখার্জি-রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার প্রথম জামাইষষ্ঠী ছিল এটি। কিন্তু করোনার তাণ্ডবে ঈদুল ফিতর ও মিথিলার জন্মদিনের মতো বিশেষ এ দিনটিও দু’জন দুই দেশে কাটিয়েছেন। এ নিয়ে বিষাদ ভর করেছে এ দম্পতির মনে।

মিথিলা বলেন—‘অনেক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কিছুই হলো না। আমি বাংলাদেশে আর সৃজিত ভারতে। মাঝখানে কাঁটা হয়ে রয়েছে লকডাউন। আমার জন্মদিন ও ঈদের মতো জামাইষষ্ঠী দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল। সৃজিত আর আমার এ বছর প্রথম জামাইষষ্ঠী ছিল। কথা ছিল আফ্রিকা থেকে শুটিং শেষে বাংলাদেশে আসবে সৃজিত। আমার জন্মদিন, ঈদ সব একসঙ্গে পালন করব। কিন্তু সে সবের কিছুই হলো না। এখন ভরসা ওই ভিডিও কল আর ফোন।’

মিথিলার ধর্ম অনুসারে ওভাবে জামাইষষ্ঠী বলে কিছু নেই। তবে সৃজিত এই মুহূর্তে বাংলাদেশে থাকলে বিশেষ আয়োজন করতেন। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন—‘এখানে থাকলে সৃজিতকে আম্মুর হাতের শুঁটকি মাছের ভর্তা, ইলিশভাপা আর কষা মাংস খাওয়াতাম। সৃজিত খেতে খুব ভালোবাসে। কিন্তু তা আর হলো না।’

এর আগে সৃজিত মুখার্জি কয়েকবার বাংলাদেশে শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন। মিথিলার মায়ের হাতের রান্না সৃজিতের ভীষণ প্রিয়। বিষয়টি জানিয়ে মিথিলা বলেন—‘সৃজিত যতবার এসেছে, ততবার জামাই আদর বেশ ভালোভাবেই করা হয়েছে। ও যা যা ভালোবাসে তাই রেঁধেছেন মা। আমার মায়ের হাতের রান্না আবার সৃজিতের খুব প্রিয়। এরকম বহুবার দেখেছি, সৃজিত খেতে শুরু করলে থামতেই চায় না। এমনিতেই আমাদের দাওয়াত মানেই দশ-পনেরো পদের রান্না। কিন্তু সৃজিতকে কখনো খাওয়ার ব্যাপারে ক্লান্ত হতে দেখিনি। এখন আমি বরং খেতে বারণ করি। বলি, একটু কম খাও। শরীরের দিকেও তো নজর রাখতে হবে।’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর মনের লেনা-দেনা। এ জুটির সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন তারা। কলকাতায় সৃজিতের ফ্ল্যাটে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়েতে সৃজিত-মিথিলার পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। তারপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় বিবাহত্তোর সংবর্ধনার আয়োজন করেন সৃজিত। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com