নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা পরিস্থিতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘কারাগারে ‘ভার্চুয়াল সিসটেম’ চালু করতে হবে। যেন প্রয়োজনে মামলা ডিজিটালি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়।’ রোববার (২১ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, জামালপুর কারাগারের প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অনেক সময় আসামিকে আদালতে নেওয়ার দারকার হয় না। কারাগারে বসেই বিচার হয়ে যায় ভার্চুয়ালি। কিছু কিছু কয়েদি আছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে কোর্টে না নেওয়াই সেইফ।’
কারাগারে সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর বিষয় প্রধামন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে এম এম মান্নান বলেন, ‘কারাগারে যেন ফ্যান থাকে। টিভি দেখার ব্যবস্থা থাকে। আর কারাগারে যারা পণ্য তৈরি করেন, তারা যেন সে পণ্য বিক্রির ৫০ শতাংশ লাভ পান। বাড়িতে যাওয়ার সময় তা নিয়ে যেতে পারেন। সব জেলেই এটা করতে হবে। সংস্কার শুধু জামালপুর নয় অন্যান্য কারাগারকেও সংস্কার করতে হবে। মিনিমাম চমৎকার আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যেন যারা জেলের বাসিন্দাম তারা সেখানে মোটামুটি মানসম্পন্নভাবে থাকতে পারেন।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার কাছে খাল কাটার নামে, পুকুর সংস্কারের নামে পাড়গুলো একটু ছেঁটে-কেটে বিল তোলা হয়েছে—এমন সংবাদ তিনি চেক করিয়েছেন। এই বিষয়ে ভালো করে দেখার জন্য মন্ত্রণালয়কে বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, কেউ যেন শুধু পাড়গুলোকে একটু ছেঁটে ভাব দেখাতে না পারেন, যে তিনি মাটি কেটেছেন।’
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে পরিকল্পমন্ত্রী বলেন, ‘এটা অন্ত্যন্ত পুরোনো একটা ট্রিক্স। কেউ কেউ করেছেন, এটা আমিও দেখেছি। এই বিষয়ে প্রধামন্ত্রীও জানেন। তিনি খুব স্টং মন্তব্য করেছেন। মাটি কাটা হলে সেটা যেন প্রয়োজনীয় গভীর করে কাটা হয়।’ আর মাটি কাটা হলে মাটি গেলো কোথায়, এ বিষয়ে ঠিকাদারকে জবাব দিতে হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।