অভিশংসনের হাত থেকে রক্ষা পেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার (৬ মার্চ) দেশটির পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে প্রয়োজনের চেয়ে মাত্র ৬ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হন ইমরান খান।
দেশজুড়ে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ এবং বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই শনিবার পাকিস্তানের সংসদে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হন ইমরান খান।
সম্প্রতি উচ্চকক্ষ সিনেটের ভোটে হেরে যান পাকিস্তান সরকারের অর্থমন্ত্রী আব্দুল হাফিজ শেখ। ওই আসনে জয় পান ইউসুফ রাজা গিলানি। এই পরাজয় শাসকদলকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেয়। ইমরান সরকারের পতনে মরিয়া হয়ে বিরোধী শিবির।
এরই ধারাবাহিকতায় নিজের ও দলের শক্তি প্রতিষ্ঠিত করতেই নিম্নকক্ষে ইমরান সরকারের এই আস্থা ভোটের আয়োজন। ৩৪২ সদস্যের নিম্নকক্ষে এদিন হেরে যান বিরোধীরা। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ১৭২ ভোটের প্রয়োজন হলেও ইমান খানের পক্ষে ভোট দেন ১৭৮ জন সংসদ সদস্য। তবে পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ ১১টি দল জোট বেঁধে আস্থা ভোট বয়কট করে।
দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়ে ক্ষমতায় আসে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ পিটিআই। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতিবিরোধী নানা পদক্ষেপ নেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। যদিও তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় আসার অভিযোগ করে থাকে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো।