সিটিজেন প্রতিবেদক: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে পুলিশের হাতে আর কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। এ ধরনের অস্ত্র শুধুমাত্র আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের কাছে থাকবে। একইসঙ্গে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এর জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৯ম সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের (পুলিশের) কাছে থাকা মরণাস্ত্র জমা দিতে হবে। কবে থেকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আজকে কেবল মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তো একটু সময় লাগে।
পুলিশ যখন অপারেশনে যাবে তখন কি করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এপিবিএন এর কাছে মরণাস্ত্র থাকবে। সাধারণ অপারেশনে মারণাস্ত্রের তো দরকার নেই।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখশ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে পুলিশকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি দেখবে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। যারা বেতন পাওয়ার যোগ্য তাদের বেতন দিতে হবে। শ্রমিকরা তাদের অবৈধ দাবি নিয়ে যদি রাস্তায় হাঁটে তাদের সেটি করতে দেওয়া হবে না। শ্রমিকদের বৈধ দাবি অবশ্যই মালিকদের পূরণ করতে হবে। অবৈধ দাবি কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ঈদে গরুর হাটে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পরে পরে সাধারণ মানুষ। সেজন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি। হাট কমিটি স্বেচ্ছাসেবক রাখে শুধু হাসিলের টাকা দিয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য। আমরা এবার বলেছি প্রতি হাটে ১০০ আনসার রাখতে হবে। যারা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেবে। একই সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে। রাস্তায় যেন কোনো রকমের চাঁদাবাজি না হয়। গোয়েন্দা সংস্থাকে বলে দেয়া হয়েছে কোথাও যদি কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হয় তারা ব্যবস্থা নেবে।