নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করায় রাজধানীতে উর্মি আক্তার নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি শামীমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার রিমান্ড শেষে আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ জুলাই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সবুজবাগ থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৫ জুলাই সকালে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে সবুজবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ঊর্মির বাবা আবুল হোসেন। মামলায় শামীম ও ফাহিম নামের দুই যুবককে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঊর্মি উত্তর বাসাবোতে তার মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করত। একই এলাকার ফাহিম তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। ফাহিম ও শামীম ওই ভিডিও দেখিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল। বেশ কয়েকবার তার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছে। এরপরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছেড়ে দেয় তারা। এই ঘটনায় ঊর্মির মা তাকে বকাবকি করে। এরপর উর্মি গলায় ফাঁস দেয়। ঊর্মিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুই বোনের মধ্যে ঊর্মি ছিল বড়।