কক্সবাজারে পাঁচলাখ ইয়াবা পাচার মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। দণ্ডিতদের প্রত্যেককে একইসঙ্গে ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন, টেকনাফের বাহারছরার সাবরাং ইউনিয়নের মৃত খুইল্ল্যা মিয়া ও ছুবিয়া খাতুনের পুত্র মো. মহররম আলী, একই ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ডাঙার পাড়ার দুদুমিয়া বলী ও হামিদা খাতুনের ছেলে মো. আমান উল্লাহ, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়ার মৃত রশিদ আহমদ ও খতিজা বেগমের ছেলে নুর আলম, একই উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলী পাড়ার মৃত আবু তালেব ও পর্দা বানুর ছেলে আবদুল মুনাফ, উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের জামাল হোসেন ও রকিমা খাতুনের ছেলে রোহিঙ্গা আবদুল পেডাম, টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়ার ফয়সল আহমদ প্রকাশ ফজল আহমদ ও রহিমা খাতুনের ছেলে আ. শুক্কুর এবং একই উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলী পাড়ার আবুল হোসেন প্রকাশ হাশেম ও আমেনা খাতুনের ছেলে মো. জাহিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এবং আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন, অ্যাডভোকেট আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও অ্যাডভোকেট তাজমিন হুদা চৌধুরী সেতু।
মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি রোহিঙ্গা শরণার্থী আবদুল পেডামকে সাজা ভোগের পর তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রায়ে কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।