শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

৩ হাজার টাকার চার্জার ফ্যান সাড়ে ৮ হাজার

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩
  • ৯৩ বার পঠিত

মাদারীপুরে গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে তিন হাজার টাকার চার্জার ফ্যান এক লাফে বেড়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। দুই থেকে তিনগুণ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চার্জার লাইট ও আইপিএস এখন ক্রেতাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদামতো পণ্য না পাওয়ায় বেড়েছে দাম। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার জাজিরা গ্রামের নজর আলী সরদারের ছেলে শান্ত হোসেন। শহরের পুরানবাজারের খান ইলেকট্রনিকসের দোকান থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা দিয়ে কিনেন একটি চার্জার ফ্যান। তার অভিযোগ, সপ্তাহের ব্যবধানে ফ্যানের দাম বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ। শুধু শান্তই নন। বাজারে চার্জার ফ্যান, লাইন ও আইপিএস কিনতে আসা অধিকাংশ ক্রেতাদের অভিযোগ এটি। তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে চাহিদা বেড়েছে এসব পণ্যের। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে দুই থেকে আড়াইগুণ, আবার কোথায়ও দাম নেয়া হচ্ছে তিনগুণ। এ জন্য সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন ক্রেতারা।

জেলার ৫টি উপজেলায় ছোটবড় মিলিয়ে ৩০০ ইলেকট্রনিকস দোকানে বিক্রি করা হয় চার্জার ফ্যান, চার্জার লাইট ও আইপিএস। গত দুই মাসে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দোকানিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিদফতর।

বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদা বেশি থাকায় দেখা দিয়েছে পণ্যের সংকট, তাই বেড়েছে দাম।

ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তা জানান, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত মাঠে চলছে অভিযান।

কয়েকজন ক্রেতা বলেন, এক সপ্তাহ আগে যে ফ্যানের দাম ছিল ২৫০০-৩০০০ টাকা। সেই ফ্যান এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে এ দাম বাড়িয়েছে। এটার প্রতিকার হওয়া দরকার।

শহরের পুরানবাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, হঠাৎ কয়েকদিন ধরে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। তাই রাজধানী ঢাকার পাইকারি মার্কেটেও সংকট দেখা দিয়েছে এ ফ্যানের। এতে বাড়তি দামে ফ্যান কিনে, বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে দাম কমালে, জেলা শহরেও এমনিতেই দাম কমে যাবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিদফতরের মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস  বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছে। শুধু একজন জনবল দিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করে রোধ করা সম্ভব নয়। এটা রোধ করা এখন কঠিন কাজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com