টানা বৃষ্টি হলে তার প্রভাব ঢাকার পরিবেশের ওপরও পড়ে। কয়েকদিন ধরে ঢাকায় বেশ বৃষ্টি হয়েছে। সেই সুবাদে ঢাকার বাতাস তুলনামূলক ভালো থাকলেও আজ সকাল থেকেই আবার দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৮টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৭তম স্থানে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের প্রকাশিত বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) দেখা যায়, এ সময় ঢাকার স্কোর ৯৭। বাংলাদেশ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৭ মিনিটে ঢাকার বায়ুমানে স্কোর ছিল এটি। বাতাসের এই মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত হলে তাকে ‘ভালো’ বলা হয়।
বিশ্বের বড় বড় শহর ছাড়াও ছোট ছোট শহরে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। নানাবিধ কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে আর তাই বিশ্বে বাড়ছে সব ধরনের দূষণ। কোনোমতেই কমানো যাচ্ছে না বায়ুদূষণ।
দেখা যায়, এ সময় বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ২২২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তানের করাচি। আবার ১৬৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর ১৬৩ স্কোর নিয়ে। তালিকায় ১৫৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ এবং ১৪৬ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে প্রতিনিয়ত।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।