মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হলেন কাজী মনির-সম্পাদক আবুল কালাম

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২ বার পঠিত

মাসুদ পারভেজ (উত্তরা):  বাংলাদেশ গার্মেন্টস পোশাক শিল্প মালিক পক্ষের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন সম্মিলিত পরিষদ। এ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চৈতী গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৭টায় উত্তরা ১ নং সেক্টরে অবস্থিত “উত্তরা ক্লাব” এ সম্মিলিত পরিষদের এক মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায়  উপস্থিত ছিলেন  বিজিএমইএ এর সাবেক ৬ জননেতা ও বর্তমান সভাপতিসহ  আরো ৩ শ এর অধিক গার্মেন্টস মালিক ও বিজিএমইএ এর পরিচালক।

তাদের  উপস্থিতিতে সম্মিলিত পরিষদের নতুন পরিচালনা পর্ষদে বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি ম্যাক্স সোয়েটার বিডি লিঃ  এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক  কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও  বিজিএমইএ এর সাবেক পরিচালক ও বিজিএমইএ এর কো- চেয়ারম্যান আবুল কালাম’কে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, সাবেক চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রশিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম কফিল উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি  ড্রাগন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি নর্দান এ্যাপারেল্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক।

 

উপস্থিত ছিলেন  বিজিএমই-এ এর সাবেক সভাপতি এনভয় ল্যাগাসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ, আরো উপস্থিত ছিলেন, জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এবং  ডিজাইন টেক্স নীটওয়্যার লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজিএমইএ এর বর্তমান সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও সম্মিলিত পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চল সভাপতি এরশাদ উল্লাহ।

পোশাক শিল্প খাতকে সুন্দর করে সাজাতে এবং টেকসই পোশাক শিল্প বিনির্মানে সম্মিনিত পরিষদ গতকাল মঙ্গলবার  ব্যাসায়ীদের সাথে উত্তরা ১ নং সেক্টর  উত্তরা ক্লাবে মতবিনিময় সভায় করেন। প্রথমেই পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্যদিয়ে  অনষ্ঠানটি শুরু করা হয়। এরপর
প্রধান অতিথিকে ফুলদিয়ে বরণ করেন চৈতী গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল কালাম এবং  সভাপতিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এম কফিল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে একে একে সকল সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে  ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

এ সময় স্বাগত  বক্তব্য রাখেন চৈতী কম্পোজিট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম।

এসময় তিনি আগত অতিথিবৃন্দ ও গার্মেন্টস মালিকদেরকে  শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজকে আমরা কোন রাজনীতির কথা বলবো না, আমাদের সৃষ্টি করা সম্মিলিত পরিষদ,এ পরিবার কি ভাবে সামনে এগিয়ে যাবে, কিভাবে  সংকটে ঐক্যবদ্ধ থাকবে, সে বিষয়ে সকলকে মতামত দেওয়ার জন্য আজকের এই আয়োজন। আশাকরি গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান বাঁচতে আপনারা আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেশ করবেন বলে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করেন।

এর পর  বিভিন্ন গার্মেন্টস ফেক্টরীর মালিক ও অনান্য  শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ তাদের  সুখ দুঃখ, ভালো মন্দ এবং অতীতের ব্যাবসায়ীক পরিবেশ পরিস্থিতি  ও বর্তমান ভোগান্তি ও অসুবিধা গুলো একে একে তুলে ধরেন।
এ সময় ব্যাবসায়ী নেতা এমএ বাসার বলেন,আমি ১৯৮৫ সালের পর থেকে গার্মেন্ট সেক্টরে যত অর্জন দেখেছি সবই  সম্মিলিত পরিষদের অবদান। তাই তিনি সম্মিলিত পরিষদকে ভালোবাসেন। এ সময় অন্যান্য মালিকগন বলেন, বর্তমানে প্রায় ৭৫% শিল্প প্রতিষ্ঠান সংকটে রয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টরে বহিরাগতের আক্রমণ বেড়ে গেছে, আমরা এর প্রতিকার চাই। ব্যাংকের চাপে ফেক্টরী বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা অন্যদিকে গ্যাস ও বিদুৎ সংকট রয়েছে।
বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস ফেক্টরীর মালিক কামাল,তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখতে হলে আমাদেরকে গাইডলাইন দিতে পারে আমরা এমন নেতা চাই। তিনি  বলেন আমরা আশ্রয় চাই- নিরাপত্তা চাই। অন্যান্যরা বলেন,আমরা ভালো নেই, ফেক্টরী এক দিন চললে আরেক দিন চলেনা। একদিকে ভাংচুর অন্যদিকে লুটপাটের ভয়,এভাবে চলতে পারে না। নেতৃত্বের অভাবে আমরা পদে পদে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসনের  উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন,আপনারা সম্মিলিত পরিষদকে ঢেলে সাজিয়ে হয়তো বিজিএমইএ- এর নেতৃত্বে যাবেন এটা ভালো কথা, কিন্তু মতবিনিময়ের নামে স্বৈরশাসককে সম্মিলিত পরিষদে সুযোগ দেওয়ার পায়তারা করবেন না। পুরান নতুন মিলে সম্মিলিত পরিষদকে কলংকিত করবেন না। তিনি  মালিকদেরকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আপনারা সতর্ক থাকবেন, পুরান প্রেতাত্মারা  এ শিল্পকে ধ্বংস করতে চায়।
চট্টগ্রাম সম্মিলিত পরিষদের এক নেতা বলেন, আমাদের চাপা কান্না শুনার কেউ নেই। ব্যাংক সুদ বাড়িয়ে গার্মেন্টস শিল্প  প্রতিষ্ঠানকে সংকটে  ফেলেছে। এ ভাবে চলতে থাকলে এ শিল্পকে বাঁচানো যাবে না। গার্মেন্টস ফেক্টরী বন্ধ হয়ে গেলে কর্মহীন হবে নিরীহ মানুষ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক  এরশাদ উল্লাহ বলেন, ফেক্টরী বাঁচলে, সম্মিলিত পরিষদ বাঁচবে, সম্মিলিত পরিষদ বাঁচলে বিজিএমইএ বাঁচবে। অতএব প্রথমে আমাদেরকে ফেক্টরী গুলো বাঁচানোর উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করতে  বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, এ শিল্পকে বাঁচাতে চাইলে ট্রান্সফোর্স গঠন করতে হবে। এই ট্রান্সফোর্স  অন্তর্বর্তীকালীন  সরকার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ও গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়নের সাথে সমন্বয়  করে এ শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।  বক্তৃতা আরো বলেন,  আশুলিয়া, জিরাবো, সাভার এলাকায়  শ্রমিক অসন্তোষের মুখে বন্ধ হয়ে আছে ২৮৬ টি ফ্যাক্টরীর মধ্যে প্রায় ২০০ টি।   তারা বলেন, ৫ আগষ্টের পর আমাদের অনুভূতি ও চেতনার পরিবর্তন হয়েছে। ভয় কিসের? বন্ড সমস্যা ও তার সমাধান,ব্যাংকের কি সমস্যা ও তার কি সমাধান,গ্যাস বিদ্যুৎ এর কি সমস্যা ও কি ভাবে তার সমাধান এসব সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্তদেরকে  প্রাধাণ উপদেষ্টার সাথে কথা বলতে হবে। সব শেষে সভাপতির বক্তব্যের মধ্যদিয়ে  অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com