উত্তরা সংবাদ দাতা ঃ শত প্রতিকুলতার মাঝে ও জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলা সফল ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শাহজাহানের মালিকানাধীন সিনথিয়া ট্রেড ইন্টার: নামের এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার। এ ছাড়াও সরকারের রাজস্ব খাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন বলে জানা যায়। বিদেশ থেকে মালামাল আনা নেয়ার জটিলতা তৈরী হলে তিনি ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে আসছেন।
তার মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ মানুষ সিএন্ডএফ সেবা নিচ্ছে।
সিএন্ড এফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এ সেক্টরে তার অভূতপূর্ব সাফল্যে জেলেছি হয়ে কিছু নামধারী ব্যবসায়ী তার নামে মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া সাজানো সংবাদ প্রচার করছে।
রাজনীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতির সাথে তিনি কখনো জড়িত ছিলেন না।তার নামের সাথে মিল রয়েছে বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির। এ কারণে মানুষ অনেক সময় ভুল করে আমাকে মনে করে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপির কর্মী হিসেবে আমার নামেও মামলা হয়। এখন আবার তারা আমাকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করছে। এক প্রশ্নের জবাবে, দৃঢ়চেতা, কঠোর পরিশ্রমী শাহজাহান বলেন আমরা কেউ আইনের উর্ধে না। আমি যদি অবৈধ কিছু করে থাকি আমি ও এর সাজা ভোগ করবো। কিছু কুচক্রী মহল আমাকে তাদের পথের কাঁটা মনে করে। আমাকে কি ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়, কি ভাবে আমাকে ফাঁসানো যায় এই ধান্দায় পরে আছে তারা। শাহজাহান বলেন, এর আগেও তাকে মামলা দিয়ে,হামলা করে হয়রানি করার চেষ্টা করেছিলো তারা।
আত্মপ্রত্যয়ী কঠোর পরিশ্রমী শাহজাহান বলেন,তিনি সৎ ও হালাল ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে বাড়ি গাড়ি করেছে। তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে সব গুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। এ সময় আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, শাহজাহান একজন সাদা মনের মানুষ। সে কোন রাজনীতি করে না। সে আমাদের সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের নেতা। তার নেতৃত্বে সি এন্ড এফ ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ।
জানা যায়,তিনি এতোটাই মানবিক ও উদার মনের মানুষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি বিমানবন্দর মহাসড়কে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মাঝে শুকনো খাবার, ওরস্যালাইন, বিশুদ্ধপানি বিতরণ করেন। এ ছাড়াও সিনথিয়া শাহজাহান ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে এসেছে।
এ সময় তারা আরো বলেন, একটি কুচক্রী মহল তাকে বড় ডোনার হিসেবে আখ্যায়িত করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
সুত্রে জানা যায়, তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন এর বিপুল ভোটে নির্বাচিত যুগ্ম-সম্পাদক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ী সিনথিয়া শাহজাহান নামে এ ব্যাক্তির প্রতিষ্ঠানের সাথে দেশের হাজার হাজার মানুষ জড়িত।
পরিশ্রমী ও উদার মনের আত্মপ্রত্যয়ী এই লোকটি জীবনযুদ্ধে হারমানেন নি। পেশাকে মূল্যায়ন করার কারণে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তার। কঠোর পরিশ্রমি এই শাহজাহান সততার সাথে ব্যবসায় সময় দিয়ে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করায় সারাদেশে দিনে দিনে তার সুনাম বাড়তে থাকে।
বর্তমানে সে এতোটাই সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত তাকে সবাই এক নামে চিনে।
আত্মপ্রত্যয়ী, দৃঢ়চেতা, কঠোর পরিশ্রমী এ ব্যক্তি এয়ারপোর্টে ছোট চাকুরী দিয়ে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে কাজ শিখে পরবর্তীতে নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। সে প্রতিষ্ঠানের নাম সিনথিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
সুত্রে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ থানায় আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ১৮৬০ পেনাল কোডের ১৪৩/৩৪১ /৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/ ৪২৭/৫০৬/ ১১৪ ধারায় মামলায় মো: শাহজানকে বিএনপির নেতা বানিয়ে ১৭ নাম্বার আসামী আসামী করা হয়।
আবার ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা ও তারেক জিয়ার অর্থায়ন কারী হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পতনের পর শাহজানকে আওয়ামীলীগ নেতা বানিয়ে আশুলিয়া থানায় একটি ও উত্তরা থানায় গত ২৮ আগস্ট পরষ্পর যোগসাজসে গুলি করে হত্যার সহায়তা অপরাধ এনে ১৮৬০ পেনাল কোডের ৩০২/১০৯/৩৪ ধারা মামলার ১৩ নাম্বার আসামি করা হয় । ব্যবসায়ীদের নামে হয়রানী মূলক মামলা দেওয়ায় সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি নেতা বানিয়ে এবং বর্তমান সরকারের আমলে আওয়ামীলীগ নেতা বানিয়ে মামলা হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে নানান আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে৷
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, শাহজাহানের সাথে এখানকার কয়েকজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীর সাথে ব্যবসায়ীক দন্ধের কারণে দুরত্ব রয়েছে। তারা এর আগে সিরাজগঞ্জে শাজাহানের নামে বিএনপির নেতা বানিয়ে মামলা করিয়েছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে তারাই তাকে আ’লীগ নেতা বানিয়ে আশুলিয়া ও উত্তরা থানার মামলায় ফাসিয়ে দিয়েছে ৷
আমরা এসব ঘটনা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য জোর দাবী জানান তারা।তারা আরো বলেন, ঢাকা কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন একটি অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী সংগঠন।
শাহজাহান সংগঠনের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ী তার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান জানান, একটি অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আমাকে ব্যবসায়ী মহলে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
এসময়, তিনি আরো বলেন, আমি যদি আওয়ামী লীগ করতাম তাহলে ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো,আমার নামে বিএনপির নেতা হিসেবে কিভাবে মামলা হলো।
এখন আবার আওয়ামীলীগ নেতা বানিয়ে আশুলিয়া ও উত্তরা থানার মামলায় আমাকে আসামী করেছে। তা ছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আমার ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার নামে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে৷ আমি তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।