বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা, নীতি বিশ্লেষণ এবং আন্তঃসংলাপের মাধ্যমে সমৃদ্ধির পথ নির্মাণের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল স্টাডিজ (এনআইজিএস) যাত্রা শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এনআইজিএস-এর মূল লক্ষ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি শক্তিশালী করা।
সম্প্রতি এনআইজিএস আশুলিয়ার বোধিজ্ঞান বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে “বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি: শান্তি ও ঐক্যের পথ” শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করেছে। এই সেমিনারে ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমে সামাজিক ঐক্য স্থাপনের গুরুত্ব এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
সেমিনারের মূল আয়োজন
সভাপতিত্ব করেন এনআইজিএস-এর সভাপতি দয়াল কুমার বড়ুয়া, এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আশিন জিন রক্ষিত মহাথেরো। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এনআইজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক এ. কে. এম. সায়েদাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
ড. মাইমুল আহসান খান, সাবেক চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
অ্যাডভোকেট ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
প্রফেসর ড. শরীফ শাকী, বিশিষ্ট গবেষক।
শাখাওয়াত খান, জাতিসংঘের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর।
কর্নেল (অব.) সালাম, বীর প্রতিক,
ডক্টর আরিফুর রহমান শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা।
ডা জিয়াউদদীন আহমেদ অধ্যাপক কিডনী বিভাগ, টেমপল বিশ্ববিদ্যালয়, ফিলাডেলফিয়া এমেরিটাস অধ্যাপক ড্রেকসেল বিশ্ব বিদ্যালয় ফিলাডেলফিয়া।
প্রাক্তন সভাপতি উত্তর আমেরিকা বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়সন।সভাপতি নিউ ইয়রক বাংলা বইমেলা।
কল্যাণ বিশ্বাস, ধর্মীয় নেতা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়।
সভাপতির বক্তব্য
সভাপতির বক্তব্যে দয়াল কুমার বড়ুয়া বলেন, “দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
১. অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করা।
২. জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
৩. সংকটকালীন সময়ে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা শক্তিশালী করা।”
অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্য
হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, “ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে যারা মন্দির বা প্রতিমা ভাঙচুরের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে আমাদের সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা জরুরি।”
বক্তারা বলেন, “জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাঙালি। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকাই শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূল চাবিকাঠি।”
এই সেমিনারের মাধ্যমে এনআইজিএস প্রমাণ করেছে যে, দেশের শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের অবদান ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।