ক্রীড়া ডেস্ক: আয়োজক দেশ হয়েও টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ম্যাচটা নিজেদের মাঠে খেলা হলো না পাকিস্তানের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা তাদের খেলতে হয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ১৯ তারিখ নিজেদের প্রথম ম্যাচের পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল ফ্লাইটে উঠেছে। এরপর ম্যাচ শেষেই ফের নিজ দেশে ফেরার তোড়জোড়।
পাকিস্তানের বাজে পারফরম্যান্সের বাইরেও আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে ভ্রমণক্লান্তি নিয়ে। আয়োজক দেশ হলেও ভারতের প্রবল আপত্তি আর ক্রিকেট দুনিয়ায় প্রভাবের জন্যই এমন বাড়তি ভোগান্তি। আগামী ২৭ তারিখ বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আরেকদফা ভ্রমণ আছে তাদের। মাঠের খেলায় ক্লান্তির প্রভাব একেবারেই নেই, এমন দাবি হয়ত করতে চাইবেন না কেউই।
সেই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বাংলাদেশকেও। ৩ দিনের বিরতিতেই দুবাই থেকে রাওয়ালপিন্ডি এসে মাঠের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে তাদের। ২০ তারিখের পর আজ ২৪ তারিখে নামতে হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচে। সেমিফাইনাল আর ফাইনালটাও ভারত খেলবে দুবাইয়ে। পাকিস্তান আয়োজক হয়েও ফাইনালের আয়োজন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে আছে সংশয়।
ভারতের প্রতি আইসিসির এই বিশেষ ‘যত্ন’ কেবল ভেন্যু ইস্যুতেই থেমে নেই। ফিক্সচারেও আছে খানিক বৈষম্য। ভারতের পরের ম্যাচ ২ তারিখ। যেখানে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। গ্রুপের শেষ ম্যাচের আগে ভারত পাচ্ছে পরিপূর্ণ বিশ্রাম। এমনকি নিজেদের সমীকরণ কী হবে, সেটাও তারা জেনে যাবে ২৭ তারিখে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে।
‘এ’ গ্রুপের বাকি তিন দলের জন্য যেখানে ভ্রমণক্লান্তি এক বড় ইস্যু, সেখানে কোনো বাড়তি চাপ ছাড়াই ভারতের এমন লম্বা বিশ্রাম খানিক প্রশ্নেরই জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশ দুবাইয়ে ম্যাচ খেলার পর বিশ্রামসহ বিরতি পেয়েছে ৩ দিনের। পাকিস্তানও তেমনই পাচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ থাকার সুবাদে একই রকমের বিশ্রাম পাচ্ছে নিউজিল্যান্ডও।
অন্যদিক ‘বি’ গ্রুপেও দলগুলোকে খেলতে হচ্ছে তিন থেকে চার দিনের বিরতিতেই। তাদের সব ম্যাচই হচ্ছে পাকিস্তানের মাঠে। সেখানে দলগুলো খেলতে নামছে ৩ কিংবা ৪ দিনের বিরতিতে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি আইসিসির পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কথা একেবারেই নতুন কিছু নয়। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটাও সেই বিতর্ক খানিক উসকে দিল।