মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপি নেতা নোমানের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক ইউক্রেন নিয়ে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার পাশে যুক্তরাষ্ট্র আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কিছু মামলার রায় হলে আ.লীগ নেতাদের লাফালাফি বন্ধ হবে: চিফ প্রসিকিউটর জাতীয় শহীদ সেনা দিবস আজ; বিডিআর হত্যাযজ্ঞের ১৬ বছর বিমানবন্দর থানায় জালটাকাসহ ব্যবসায়ী আটক ষড়যন্ত্রকারীরা অন্তবর্তী সরকারের মাঝখানে ঢুকে গেছে : আমিনুল হক ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচনের টার্গেট : সিইসি সারাদেশে অবৈধ সব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ ভারতের জন্যই আইসিসির বিশেষ সুবিধা, বঞ্চিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস আজ; বিডিআর হত্যাযজ্ঞের ১৬ বছর

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

সিটিজেননিউজ ডেস্ক: আজ শোকাবহ ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৬ বছর। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিদ্রোহের নামে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন চৌকশ সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ বেসামরিক নাগরিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভীষিকাময় ও শোকাবহ এ দিনটি প্রথমবার জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হচ্ছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে সরকার প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই পরিপত্র শেয়ার করেছেন।

উপসচিব তানিয়া আফরোজের সই করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ওই তারিখকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ (সরকারি ছুটি ব্যতীত) হিসেবে পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিপত্রে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০০৯ সালে পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ গুম এবং পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও নির্যাতন চালানো হয়। দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা ওই নৃশংস ঘটনাকে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রথম বড় ধরনের আঘাত হিসেবেই মূল্যায়ন করে থাকেন। অন্তর্বর্তী সরকারেরও মূল্যায়ন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধেও বাংলাদেশ একসঙ্গে এতজন সেনা কর্মকর্তাকে হারায়নি।

এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। ঢাকা মহানগর তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিডিআরের সাবেক ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়। সর্বশেষ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ২৫০ জন বিডিআর জওয়ানকে জামিন দেন আদালত। ২৩ জানুয়ারি ১৭৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এ ভয়াবহ ঘটনায় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শপথ গ্রহণকারী দেশের সুরক্ষা কবচ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হারায় তার মেধাবী ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের, যা সমগ্র সশস্ত্র বাহিনীর মনোবলে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ দিনটি শুধু বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নয়, পুরো জাতির জন্যই শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com