শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা থেকে সরে আসছে ট্রাম্প!

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক পণ্ড হওয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “হোয়াইট হাউসে আমরা আজ খুবই অর্থপূর্ণ একটি বৈঠক করেছি। উত্তেজনা ও চাপে পরিপূর্ণ আলোচনা থেকে আজ আমি যা জেনেছি, সে সম্পর্কে আগে জ্ঞাত ছিলাম না। আমি বেশ বিস্মিত হলাম এটা অনুধাবন করতে পেরে যে যুক্তরাষ্ট্র যদি এ যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কখনও শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন না। কারণ তিনি মনে করেন যে (এই যুদ্ধে) আমাদের সংশ্লিষ্টতা তার জন্য একটি বড় সুযোগ এবং শান্তি ও সমঝোতার প্রসঙ্গ এলেই এ সুযোগ তিনি ব্যবহার করতে পারবেন।

“আমি কোনো সুযোগ চাই না, আমি চাই শান্তি। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ওভাল অফিসকে অসম্মান করেছেন। যখন তিনি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন ফের (ওভাল অফিসে) ফিরে আসতে পারবেন।

দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। এ যুদ্ধে তিনি ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দৃঢ়ভাবে ইউক্রেনের পক্ষ নেয় এবং কিয়েভকে সামরিক ও অর্থ সহায়তা প্রদান শুরু করে। গত তিন বছরে ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে ওয়াশিংটন।

রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জোটভুক্ত দেশগুলোও ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান করেছে, কিন্তু এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এককভাবে সহায়তা প্রদানের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ যুদ্ধের একজন বড় সমালোচক ছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বেশ কয়েবার তিনি বলেছিলেন যে এই যুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় ও প্রাণহানি ঘটছে এবং এটি থামাতে বাইডেন প্রশাসন কার্যকর কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না।

গত ২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের পর এ যুদ্ধে সরাসরি সংশ্লিষ্ট হন তিনি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্থাপনের জন্য তৎপরতা শুরু করেন। তার ধারাবাহিকতাতেই শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com