হাফসা (উত্তর):রাজধানীর উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়ক এলাকায় এক পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারাতে গিয়ে বেঁচে গেলো মহিদুল ইসলাম নামের এক বাইকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিক-আপের নিচে ডুকে আছে একটি মোটর সাইকেল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় বাইক চালক।
আজ১৬ই মে শুক্রবার দুপুর আনুঃ ১২ টার দিকে বিমানবন্দর মহাসড়কে মর্মান্তিক এই দূর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মালবাহী পিক-আপের চাপায় মোটরসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পিক-আপ চালকের বুদ্ধিমত্যায় প্রাণে বেঁচে গেলো বাইক চালক মহিদুল ইসলাম।
মোটরসাইকেল চালক মহিদুল ইসলাম বলেন তিনি একজন সরকারি চাকুরী জীবী। তার মোটরসাইকেলের নাম্বার ঢাকা-মেট্রো-হ-৭৩-৬৬৫০ অপর দিকে পিক-আপ গাড়িটির নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ন,১৭-১৮৪২। এ সময় তিনি আরো বলেন,জরুরী কাজ শেষে দক্ষিনখানের নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন, এমন সময় বিমানবন্দর মহাসড়ক জসিম উদ্দিন র্যাব-১ কার্যালয়ের উল্টো পাশের রাস্তায় একজন পথচার দৌড় দিয়ে তার মোটর সাইকেলের সামনে চলে আসে। ঔ পথচারীকে বাঁচাতে তিনি হার্ড ব্রেক করেন। হার্ড ব্রেকের কারণে বাইক থেকে সড়কে ছিটকে পড়েন তিনি। এমন সময় পিছন থেকে আসা মালবাহী ঐ পিক-আপ ড্রাইবার তাকে বাঁচাতে গিয়ে সড়কে পরে থাকা তার বাইকের উপরে পিক-আপটি তুলে দেন। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন পথচারী বলেন, দোষ না থাকলেও ভয়ে পিক-আপ ড্রাইভার পালিয়ে যান। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অপর এক গাড়ী চালক বলেন, তিনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন,হঠাৎ দেখতে পায় একজন লোক সড়কের মাঝখান দিয়ে জোরে দৌড় মারেন। দৌড় মারা ঐ পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটর সাইকেল চালক হার্ড ব্রেক করার কারণে তিনি গাড়িসহ সড়কে সিটকে পরেন। এঘটনায় পিক-আপ চালকের কোন দোষ ছিলো না। বরং পিক-আপ ড্রাইভারের অভিজ্ঞতার কারণে মোটরসাইকেল চালক প্রাণে বেঁচে যায়। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য ও বিমানবন্দর থানার পুলিশ । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ক্রেন নিয়ে এসে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নোমান ইনকিলাবকে বলেন, বাইক চালকের কোন ধরনের অভিযোগ না থাকায় মোটরসাইকেলের মালিক ও পিক-আপ ড্রাইভারের লোকজনের সাথে কথা বলে রেকার বিল পরিশোধের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করে দেন।
উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো বলেন, দূর্ঘটনা এড়াতে র্যাব-১ এর পাশেই রয়েছে নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ। পথচারীরা ব্রিজ ব্যবহার না করেই সড়কের মাঝখানে চলাচল করছে। সড়কের মাঝ খানের ফাঁকা জায়গা বন্ধ করতে হবে। এ সব দূর্ঘটনার জন্য তারা বিআরটি প্রকল্পের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।